বিএনএ ডেস্ক:ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, বাংলাদেশ চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। কোনো দেশের সরকার না চাইলে জাতিসংঘ নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো সহায়তা দিতে পারে না।
রোববার(১৯ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনটির সভাপতি পান্থ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনউদ্দিন।
সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআর বিশ্বব্যাংকের অংশ। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল পলিসি তাই জাতিসংঘের পলিসির সঙ্গে মিলে যায়। তবে মাঠ পর্যায়ে নীতির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচন করতে পারে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সুশীল সমাজের জন্য স্পেস প্রত্যাশা করি। গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন রয়েছে। বাংলাদেশ এই কনভেনশন রেটিফাই করুক এটাই প্রত্যাশা। মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, বৈষম্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কোনো আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের দুটি দিক আছে। একটি রাজনৈতিক, অপরটি মানবিক। জাতিসংঘের তরফে এসব দেখাশোনার ভিন্ন ভিন্ন এজেন্সি রয়েছে।
মিয়া সেপ্পো আরও বলেন, জাতিসংঘ শিগগিরই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিও ইতোমধ্যে ওই চরে তাদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে বাংলাদেশের এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। তারপরই ভাসানচরে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা যুক্ত হবে। তবে ঐতিহাসিক ভিন্নতার কারণে কক্সবাজার ও ভাসানচরে জাতিসংঘের ভূমিকা হবে ভিন্ন।
বিএনএ/ওজি