30 C
আবহাওয়া
৭:১৭ অপরাহ্ণ - জুলাই ২০, ২০২৫
Bnanews24.com
Home »  বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন দখলদার চাঁদাবাজ!

 বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন দখলদার চাঁদাবাজ!


বিএনএ, ডেস্ক : গত ১৬ই জুলাই লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে পৌর পার্কের সমাবেশে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ফেরার পথে প্রতিরোধের কবলে পড়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতারা। সেনাবাহিনীর পাহারায়ও গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে পারেননি। আশ্রয় নেয় জেলা পুলিশ কার্যালয়ে। সেখানেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুরো গোপলগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে সেনাবাহিনীর এপিসিতে লুকিয়ে এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করে। এ সময় গুলিতে নিহত হয় ৫জন।

YouTube player

সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থানে গিয়ে মুজিববাদ মুর্দাবাদ শ্লোগান দেয়া এবং বাংলাদেশে মুজিব আর্দশকে করব দেয়া হবে সংক্রান্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে এনসিপি নেতাদের সেনাবাহিনীর এপিসি’র ভেতরে লুকিয়ে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করতে হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সমাবেশে এনসিপি নেতাদের বক্তব্য ও শ্লোগান নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন উত্তপ্ত এবং আলোচনা-সমালোচনা চলছে —সেই সময়ে আবারও উস্কানী মূলক বক্তব্য দিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। এনসিপির এবারের টার্গেট বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত এনসিপির পথসভায় নাসির উদ্দিন পাটোয়ারির বিরূপ মন্তব্যের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা  বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পৌর শহরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে করা জাতীয় নাগরিক পার্টির সভাস্থল দখল করে নেয় এবং ট্রাকের ওপর করা মঞ্চ ভাঙ্গচুর করে; ছিঁড়ে ফেলে দেয় ব্যানার । শনিবার  বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

প্রসঙ্গত, বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের। কিন্তু চকরিয়া ও কক্সবাজারের ঈদগা’তে পথ সভা করতে পারেনি এনসিপি। কক্সবাজার থেকে কড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের স্কট করে, বান্দরবানে পৌঁছে দেয়।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন বলছেন, রাজনীতিতে কথার জবাব “কথার মাধ্যমেই দেওয়া উচিত”।  কিন্তু “এভাবে মঞ্চ ভাঙা, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা এটা অগণতান্ত্রিক আচরণ”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এনসিপি সারদেশে ‘জুলাই পথযাত্রা’ র মাধ্যমে পথ সভা করলেও গত ১৬ ই জুলাই ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করে সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের  আর্দশকে কবর দেয়ার কথা বলে নিজেরাই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এপিসিতে ঢুকে গোলাপগঞ্জ থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন এনসিপির নেতারা। তার রেশ কাটতে না কাটতেই কক্সবাজারে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেন।

প্রশ্ন ওঠেছে, এনসিপি নেতাদের কী সব সময় সেনাবাহিনী পাহারা দেবে? যে দলটি নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের জন্য ৪৩ হাজার পৃষ্টার নথি দিলেও, ২৫টি উপজেলায় ন্যূনতম ২০০ জন ভোটারের তথ্য, ও স্বাক্ষর জমা দিতে পারেনি, সেই দলটির নেতারা অন্য দলের নেতাদের কেন অশালীন ভাষায় আক্রমন করছেন?  নিবন্ধনবিহীন সরকারি দলখ্যাত এনসিপির নেতারা এত লম্ফঝম্প কেন করছেন? তারা কী সাপের পাঁচ পা দেখেছেন?

রাজনীতিতে নবাগত এনসিপি’র নেতার এখনই মূখের লাগাম না টানলে, দল ও নিজের বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবেন- এতে কোন সন্দেহ নেই।

সৈয়দ সাকিব

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ