31 C
আবহাওয়া
১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকার একটি হোস্টেল থেকে মাহফুজা আক্তার (২৫) নামে এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোস্টেলে ঝুলছিল ডা. মাহফুজার মরদেহ গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খিলক্ষেত থানা পুলিশ নিকুঞ্জ-২, রোড নাম্বার-৩, ২৬ নম্বর বাড়ির ৬ষ্ঠ তলা থেকে এই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। তার বাড়ি গাজীপুর জেলায়। বাবার নাম নুর আহমেদ খান, তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং মা রওশন আরা গৃহিণী। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল মেজ। তার পরিবার কদমতলী মুরাদপুরে থাকেন।
খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাবরিনা রহমান মৌরী জানান, খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হোস্টেলের ৬ষ্ঠ তলার রুমের ভিতর থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ভবনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবে ভবনটির মালিক এটি হোস্টেল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মাহফুজা আক্তার ওই হোস্টেলের রুমটিতে ভাড়া নেন। তার রুমে আরও একজন থাকে। তবে শনিবার সে গ্রামের বাড়িতে ছিল।
আশপাশের ভাড়াটিয়াদের বরাত দিয়ে এসআই সাবরিনা জানান, শনিবার দুপুরের পরে পাশের রুমমেটরা তাকে রুমের ভেতরে ফোনে অনেক চিল্লাচিল্লি করতে শোনে। এরপর বিকেলে তার রুমের দরজা বন্ধ দেখে আশপাশের রুমমেটরা তাকে ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানালে তখন সবাই মিলে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। রুমের ভেতর লোহার হ্যাঙ্গারের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে সেই অবস্থা থেকে বিছানায় নামিয়ে রাখে। এরপর থানায় খবর দিলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে সে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আমাদের কাছে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। আমরা নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেছি, তারা ও তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে পারেনি। কেনইবা তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন সে বিষয়ে কোনো ধারণা করতে পারছেন না। তারা বলছেন, মাহফুজা খুব শান্তশিষ্ট ও নরম স্বভাবের ছিলেন। কারো সাথে তেমন বেশি কথা বলতো না। খুবই মেধাবী ছিলেন তিনি। কী কারণে এমনটি ঘটিয়েছে তা তাদের ধারণার বাইরে।
মৃতের ভাই মেহেদি হাসান মুন্না জানান, ২০১৯ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করে মাহফুজা। এরপর সে টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টসের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। পাশাপাশি তিনি এফসিপিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মুন্না আরও জানান, আগেও তিনি দুই তিনবার পরীক্ষা দিয়েছেন। নিকুঞ্জ এলাকার ওই হোস্টেলে থেকে কোচিং করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। কী কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিতে পারেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আজিজুল,আমিন

Loading


শিরোনাম বিএনএ