বিএনএ ডেস্ক :অনেক বৈচিত্র্যতা ছিল রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদ্যোপান্ত জীবনে। রানী কখনও স্কুলে পড়াশোনা করেননি। প্রথাগত স্কুল-কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিল না তাঁর।
রানীর কখনও পাসপোর্টও ছিল না। ব্রিটেনের দেশবাসীর পাসপোর্টে তিনিই সরকারের কাছে আর্জি জানান, ধারককে যেন ভিন্দেশে সফরের যাবতীয় অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর হয়ে এ কথা কে বলবেন? তাই রানীরর পাসপোর্টের সংখ্যাও শূন্য। একই কারণে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স এমনকি গাড়ির নম্বরপ্লেটও ছিলনা।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের রান্না করেননি কখনো । তাঁকে রেঁধেবেড়ে খাওয়ানোর লোকের কমতি নেই। কিন্তু সেই সুযোগ থাকলেও রাজপরিবারের বহু সদস্য নিজে হাতে রান্না করতে রান্নাঘরে ঢোকেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপই এই দলে ছিলেন। ফিলিপ বরাবর নিজের এবং রানীর জন্য ওমলেট নিজে হাতেই তৈরি করতেন। কিন্তু রানীরর ব্যাপারে এমন দাবি করতে পারবে না কেউ । রানী রান্না করা তো দূর রান্না ঘরে ঢোকার ইচ্ছেও প্রকাশ করেননি কখনও।
জন্মদিন সবার একটিই হয়। তবে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিন দু’টি। একটি তাঁর আসল জন্মদিন, ২১ এপ্রিল। অন্যটি পালন করা হয় জুন মাসের কোনও এক সপ্তাহান্তে। ওই সময় ব্রিটেনের আবহাওয়া থাকে ঝলমলে। রানির জন্মদিন দেশজুড়ে পালন করার উপযোগী দিন দেখেই ঠিক হয় জন্মদিন। সেনা প্যারে়ডের সঙ্গে পালন করা হয় ‘ট্রুপিং দ্য কালার’।
দিনে ছ’বার সুরা পান করতেন রানী। এই নিয়ম বদলায়নি কখনও। মধ্যাহ্ণভোজের আগে জিন এবং ডাবোনেট। মধ্যাহ্ণভোজের সঙ্গে ওয়াইন। সন্ধ্যায় একটি ড্রাই মার্টিনি এবং রাতের খাবারের আগে একটি শ্যাম্পেন।
ইংল্যান্ড এবং ব্রিটেনের শাসক হিসেবে তাঁর আগে দায়িত্ব পালন করেছেন আরও ছয় জন রানী। তিনি ইংল্যান্ডের সপ্তম রানী। আবার তাঁর শাসনকালে সাত জন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপও ছিলেন ইংল্যান্ডের চার্চে। রানির প্রথম পোট্রেটও আঁকা হয়েছিল তাঁর সাত বছর বয়সে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই প্রেমে প়ড়েন রানী। লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভ্রাতুষ্পুত্র ফিলিপের। ১৩ বছর বয়স থেকেই দু’জনে দু’জনকে চিঠি লিখতেও শুরু করেন।
রানীর শাসনকালে কাজ করেছেন ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম জন ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া লিজ ট্রাস এই তালিকায় শেষতম।বাবা ব্রিটেনের রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন রানী।
মোট ১১৭টি দেশ ঘুরেছেন রানী। ১৭ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে তাঁর বিশ্বসফর।
বিএনএ/ ওজি