বিএনএ, চট্টগ্রাম: ফেনীতে পৃথক দু’টি অভিযানে মাদকসহ ৫ আন্তঃজেলা মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। উদ্ধার মাদকের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ টাকা বলে জানা যায়।
বুধবার (৬ জুন) ফেনী মডেল থানার লালপোল এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে মাদকসহ তাদের আটক করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিেতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এসব তথ্য জানায়।
আটকরা হলেন- চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার কামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাত হাসান (২৬), একই থানার মুসলিমাবাদ এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে মো. রাসেল (৩১), নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার জৈনদপুর এলাকার মৃত সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ মিজান (৩০), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মটুয়া এলাকার মৃত শফিকের ছেলে আলাউদ্দিন (২৪) এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বিন্নাগুনি এলাকার মৃত ছালেহ আহম্মেদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাদক ব্যবসায়ীরা একটি প্রাইভেটকারযোগে মাদকদ্রব্য বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে নিয়ে আসছে। গোপন সংবাদে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বুধবার (৬ জুন) ফেনী মডেল থানার লালপোল এলাকায় চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের পাকা রাস্তার ওপর একটি চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এ সময় একটি সন্দেহজনক প্রাইভেটকারকে থামানোর সংকেত দিলে না থামিয়ে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব প্রাইভেটকারসহ আরাফাত হাসান (২৬), মোঃ রাসেল (৩১), মোহাম্মদ মিজান (৩০) এবং আলাউদ্দিনকে (২৪) আটক করা হয়। এসময় আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করে প্রাইভেটকারের পিছনে ব্যাকডালার মধ্যে একটি কালো রংয়ের ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, অপর মাদক ব্যবসায়ী ফেনী মডেল থানার রেলগেইট সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার ওপর গাঁজাসহ গাড়ীতে উঠার জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বুধবার ( ৬ জুন) ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেনকে (৪৫) আটক করা হয়। এসময় ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং দেহ তল্লাশী করে তার হেফাজতে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ড্রাইভিং পেশা এবং অন্যান্য কাজের আড়ালে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ও গাঁজা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে ফেনী, কুমিল্লাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধার মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আটক আসামী এবং উদ্ধার মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম