বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার অন্যতম আসামি নিয়াজ মোর্শেদ নিপু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিয়াজ মোর্শেদ নিপু চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার মঘাদিয়া এলাকার মোল্লা বাড়ির মো. আবুল হাসেমের পুত্র। সে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার সন্দেহভাজন চার্জশিটভুক্ত ২২ নম্বর আসামি।
আসামি পক্ষের আইনজীবী বাবুল দাশ জানান, আদালতে আত্মসমর্পণের পর বিচারক নিপুকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ, ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাদি সদরঘাট থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করেছিলেন সুদীপ্ত। এ ঘটনার জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সুদীপ্ত হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই।
মামলার অন্যতম আসামি দিদারুল আলম মাসুম, নিয়াজ মোর্শেদ নিপু, মোক্তার হোসেন ও আইনুল কাদের নিপুকে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানায় পিবিআই। এ মামলায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ৮১ জনের সাক্ষী গ্রহণ করেছে পিবিআই।
মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে উঠে আসা দিদারুল আলম মাসুমকে গত বছরের ৪ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই মাস জেলে থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি।
পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৩ নভেম্বর নিম্ন আদালতে হাজির হলে জামিন বাতিল করে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। বর্তমানে মাসুম জামিনে আছেন।
বিএনএনিউজ/মনির