35 C
আবহাওয়া
৮:৪২ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নিষেধাজ্ঞার পরের দিন সচল অবৈধ ইটভাটা

নিষেধাজ্ঞার পরের দিন সচল অবৈধ ইটভাটা

নিষেধাজ্ঞার পরের দিন সচল অবৈধ ইটভাটা

বিএনএ, সাভার : দেশের এক সময়ে জনপ্রিয় খেলা ছিলো লুকোচুরি খেলা। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেলেও নতুন রুপে দেখা যায় সরকারি কর্মকর্তা ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের মাঝে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতে ঢাকার ধামরাইয়ে ১০টি অবৈধ ইটভাটাকে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা আদায় করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

কিন্তু বাঙালি বলে কথা! লুকোচুরি যাদের রক্তে মিশে আছে সেই খেলা কি আর তারা ভুলতে পারে! বন্ধ করে দেয়ার পরও ওইসব অবৈধ ইটভাটা গুলোর মালিকরা আবার লুকোচুরি খেলায় মেতে উঠেছে। যার ফলে আবারও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এবং ফসলি জমি ধ্বংস হচ্ছে। ফসলি জমির মাটি কাটা, অবৈধ ড্রাম ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রবিহীন ইটভাটা ভ্রাম্যমান আদালতে দিনের বেলা বন্ধ করে দেয়া হলেও রাতের আঁধারে তা পুনরায় চালু করা হয়। ওই সব অবৈধ ব্যবসায়ীদের অর্থ জরিমানা, অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেয়া বা ধ্বংস করা হলেও তাদের কোনভাবেই দমানো যাচ্ছে না।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতে বন্ধ করে দেয়া ১০টি ইটভাটার মধ্যে ৭টি পুনরায় চালু করা হয়েছে। আবার বাকি ৩টি ইটভাটা চালু করার জন্য মেরামত করা হচ্ছে। ধামরাইয়ে এরকম প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। যার ফলে পরিবেশ দূষণ সহ ধ্বংস হচ্ছে তিন ফসলি জমি। পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন অভিযান পরিবেশের কোন উপকারে আসছে না। অবৈধ যত ইটভাটা রয়েছে হয় সব বন্ধ করুক, না হয় জরিমানা নেয়া বন্ধ করুক।

জরিমানা করার পরও যদি অবৈধ ইটভাটা চলে তাহলে কৃষি জমি ও পরিবেশের ক্ষতি তো হবেই। এমন অভিযান করা হোক যাতে কৃষি জমি ধ্বংস ও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায়। খুঁজ নিয়ে জানা যায় এসব অবৈধ ইটভাটা ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান সহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবিতে। একদিকে সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছে উপজেলাকে আধুনিক উপজেলায় পরিণত করবে। আবার অপরদিকে তারাই সরকারি অবকাঠামো ধ্বংস করে অবৈধভাবে কেটে নিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমির মাটি।

বন্ধ করে দেয়া এমএমবি ব্রিকস (মক্কা মদিনা) ইটভাটার মালিক আমজাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে ৫লক্ষ্য টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাহলে ইটভাটা কেন চালু করেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনার জানার দরকার নেই। আপনাকে কৈয়ফত দিতে আমি বাধ্য নই।

এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনি পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করুন। বন্ধ করে দেয়া অবৈধ ইটভাটা পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং ধামরাইয়ে বাকি যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সে বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মো. রাজীব তাঁর সিনিয়রের সাথে কথা বলতে বলেন। ঢাকা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিএনএনিউজ২৪.কম/ইমরান খান/এনএএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ