বিএনএ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বহুল আলোচিত, সমালোচিত ও বিতর্কিত আরশীনগর ফিউচার পার্ক ফের চালু হচ্ছে বুধবার (১ জানুয়ারি)। পার্কটি গত ৫ আগষ্ট দূষ্কৃতিকারীদের দেয়া আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির মেরামত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। পার্কটি মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন দিদারের পরিচালনায় পরিচালিত হয়ে আসছিল। নাছির উদ্দিন দিদারের পরিচালনায় পার্কটিতে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠে। এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর পর একে একে বের হয়ে আসে নানা অসঙ্গতি। এসব অসঙ্গতির মধ্যে ছিল পার্কের কিছু অংশ বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করার অভিযোগ । এসব অসঙ্গতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিন দিদার বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করেননি। ৫ আগষ্ট ছাত্র জানতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গা ঢাকা দেন নাছির উদ্দিন দিদার। পার্কটি পুড়িয়ে একপ্রকার মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। নাছির উদ্দিন দিদারের অনুপস্থিতে পার্ক স্থাপন এলাকার বেশ কিছু জমির মালিক স্থানীয় সাবেক শিবির নেতা জামাল এগিয়ে আসেন। তিনি স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনরায় পার্কটি মেরামত করেন। তবে পার্কে পুর্বের নির্মিত বিতর্কিত শেখ মুজিবের মূর্তিসহ দৃষ্টিকটু বেশ কয়েকটি নারী মূর্তি অপসারণ করেন।
পার্কটি উদ্বােধনের পূর্বে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি বলেন, পার্কটির বিরুদ্ধে পূর্বে যে সকল অভিযোগ ছিল সেসকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। সামাজিক শালীনতা বজায় রেখে একটি মাধুর্যময় নান্দনিক প্রাকৃতিক পরিবেশে পারিবারিক পার্ক হিসেবে প্রকাশ পাবে বর্তমান আরশীনগর।
তিনি বলেন, আরশীনগর ফিউচার পার্কটি একটি শত কোটি টাকার প্রজেক্ট। এটি বন্ধ হয়ে গেলে দিন শেষে মিরসরাইয়ের একটি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাবে। মিরসরাইয়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিশু পার্ক নেই। পারিবারিক সামাজিক প্রাতিষ্ঠানিক মিটিং সভা সমাবেশ সেমিনার বিয়ে আকিকার মতো অনুষ্ঠান করার মতো মনোরম পরিবেশে এমন প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়টি আর নেই। তাই আমাদের ইচ্ছা মিরসরাইয়ের এই সম্পদকে যথাযথভাবে পরিচর্যা করে মিরসরাইয়ের মানুষের উপকারে ব্যবহার করা।
সরকারি জমি দখলের বিষয়ে শিবির জামাল বলেন, আরশীনগরের মুল স্থাপনা নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি লিজকৃত জমিতে পার্কিং এরিয়া ও কিছু গাছগাছালি রয়েছে যা পার্কের সৌন্দর্যের স্বার্থে করতে হয়েছে। কিন্তু বিতর্কিত এরিয়া সরকার চাইলে যে কোন মুহূর্তে দখলে নিতে পারে এতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।
বিএনএনিউজ/ আশরাফ উদ্দিন/ বিএম/এইচমুন্নী