23 C
আবহাওয়া
১:২৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রডব্যান্ডের আওতায় আসছে

৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রডব্যান্ডের আওতায় আসছে

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

বিএনএ,রাজশাহী: আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদ আয়োজিত ‘চতুর্থ ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রুয়েট মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ১২ কোটি মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে দেশে ১ লাখ ১০ হাজার গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড কানেকশনের আওতায় আসবে। এর মধ্যে ৭০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে এ সংযোগ।’

তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম মণ্ডলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য দেন রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইইই) বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদ-উজ-জামান, অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আগামী ২০৩৫ সালের পর পরই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় খাত হবে আইসিটি সেক্টর, যেটি গার্মেন্টস সেক্টরকেও অতিক্রম করবে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ আইসিটি সেক্টরে এখন কাজ করে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এটি হবে ৫০ লাখ। এছাড়া আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ আইসিটি সেক্টরে কাজ করবে।

বক্তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম এবং ১৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় হতে যাচ্ছে শেখ রাসেল স্কুল অব ফিউশন। এছাড়া হবে জয় ডিসেন্ট সেন্টার। যেখানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আধুনিক সব প্রযুক্তি শেখানো হবে। ইতোমধ্যেই দেশে ১০টি হাইটেক পার্কের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ৭ বছরের মধ্যে এই সংখ্যা প্রায় ১০০-তে উন্নীত হবে। হাইটেক পার্কের উদ্যোগে রুয়েটে একটি ইনোভেশন হাবের কাজ চলমান রয়েছে।

দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪৬৫ জন গবেষক, শিক্ষক, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে ৬৯টি টেকনিক্যাল পেপার ও ৬ টি কি-নোট পেপার উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও ৪টি ইনভাইটেড টক, একটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সেরা ৩টি পেপারকে সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হবে। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর সীমান্ত অবকাশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ