16 C
আবহাওয়া
১২:০৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মহাকাব্য লেখা না হলে আফসোস থেকে যাবে: ড. জাফর ইকবাল 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মহাকাব্য লেখা না হলে আফসোস থেকে যাবে: ড. জাফর ইকবাল 


বিএনএ, কুবি (কুমিল্লা) : শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যদি বড় একটি মহাকাব্য লেখা না হয় তা হলে আফসোস থেকে যাবে।

৩০মে (সোমবার) দুপুর দুইটায় কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কলা ও মানবিক অনুষদের উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাফর ইকবাল বলেন, আমাদের দেশের দুর্নীতি, ক্রাইম নিয়ে আমরা লিখছি। যার ফলে দেশের খারাপ বিষয়টি পরিচিতি পাচ্ছে। আমি দেখার অপেক্ষা করছি আমাদের দেশের সত্যিকারের সাহিত্য, সুন্দর সাহিত্য, ভাল সাহিত্যগুলো পৃথিবীতে, ইউরোপে আমাদের সমৃদ্ধ সাহিত্যকে পরিচিত করবে। যেগুলাে আমাদের পছন্দের এবং যা আমরা পরিবর্তন না করি। এখানে আমাদের যে কোনো দোষ নেই তা না। আমরা যে লিখি তার পরিধি ছোট। আমাদের এই লেখার পরিধিতে প্রচুর রোমান্স, দারিদ্র ও কষ্টগুলো উঠে আসে। এছাড়া পৃথিবীতে মানুষের যে নানা ধরনের অভিজ্ঞাতা আছে সেগুলো আসেনা। আমার দুঃখ হয় যে মুক্তিযুদ্ধের উপর সেরকম কোন লেখা হয় নাই। মুক্তিযুদ্ধ এদেশের সকল অংশকে স্পর্শ করেছে। যা নিয়ে এদেশের মানুষের কোন না কোন স্মৃতি আছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যদি বড় একটি মহাকাব্য লেখা না হয় তা হলে আফসোস থেকে যাবে।

উল্লেখ্য, সকালে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল- ইসলামের সঞ্চালনায় কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম শরিফুল করীম।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা বলেন, কলা ও মানবিক অনুষদের বিষয়গুলো এদেশে অনেকটা হাসি ঠাট্টার বিষয় হয়ে গেছে। বিজ্ঞান আমাদের মারণাস্ত্র উপহার দিয়েছে। কিন্তু মানবিকতার বিষয় ও সাহিত্য আমাদের মানবিক মানুষ হতে সহায়তা করে। কিন্তু এগুলো চর্চা ব্যতিত মানবিক মানুষ হওয়া সম্ভব না।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান। তিনি আরো জানান, নালন্দার মতো বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপমহাদেশেই। পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছিল। এমনকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বিহারগুলোও এক সময় সূদুর চীন পর্যন্ত শিক্ষা বিস্তারে সক্ষম হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আমি পজিটিভিটির পক্ষে, নেগেটিভিটির পক্ষে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগেটিভিটিকে ব্রান্ড করতেছি, পজিটিভিটিকে না। উপাচার্য সমালোচিত হওয়া মানে বিশ্ববিদ্যালয় সমালোচিত হওয়া। সমালোচনাকে বাদ দিয়ে একাডেমিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে আরো উপরে নিয়ে যেতে পারব।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, কলা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

বিএনএনিউজ/হাবিবুর/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ