বিএনএ, চট্টগ্রাম: ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার জন্য সাংগঠনিক পদ নয়। পদ-পদবির জন্য আমাদের উপঢৌকন দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
রোববার (২৯ মে) হাটহাজারীর পার্বতী স্কুল মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা পদ-পদবি নিয়ে আপনারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতি করতে হবে। নিজের জন্য না, সমাজের জন্য রাজনীতি করতে হবে। দলের মধ্যে ভূঁইফোড়দের রাজত্ব অবসান করতে হবে। সামনে আমাদের নির্বাচন। যতদিন বাংলাদেশে দুখী-দরিদ্র থাকবে ততদিন আমাদের এ মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে।
ত্যাগী নেতাদের যুবলীগের কমিটিতে স্থান দেওয়ার পরামর্শ দেন পরশ। তিনি বলেন, আমাদের উচিত ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দলের মধ্যে ভুঁইফোড়দের রামরাজত্ব বন্ধ করতে হবে। ত্যাগী ও জেল-জুলুম সহ্য করা নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সংগঠনের আইন সম্পাদক মানে সহযোদ্ধাদের আইনী সহায়তা দেওয়া, মহিলা সম্পাদক মানে নির্যাতিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো, স্বাস্থ্য সম্পাদক মানে নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যসংকটে পাশে দাঁড়ানো, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ যার যে দায়িত্ব সেটা সঠিকভাবে পালন করার নামই রাজনীতি।
উত্তর জেলা যুবলীগ সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দিদারুল আলম এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, যুবলীগের চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, বদিউল আলম, চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, উপ প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান সুজন, আশিকুর রহমান শান্ত, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/এমএফ