বিএনএ, ঢাকা : জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। মনোনয়ন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান-মহাসচিবের অসহযোগিতা এবং পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন না করায় নির্বাচন বয়কট করেছেন বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন রওশন এরশাদ। এর আগে বৈঠকে বসেন রওশনপন্থীরা।
জাপার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনে নির্বাচন করেন। সে আসনটি তাঁর জন্য খালি রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রওশন দলীয় মনোনয়ন ফরম না নিলে সেখানে দলের ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সভাপতি আবু মো. মুছা সরকারকে প্রার্থী করা হবে। তাঁকে ঢাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক সহযোগিতা না করার কারণে দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রওশন। তিনি বলেন, ‘এমন অবস্থায় দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারণে আমার নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও রওশন এশাদের দ্বন্দ্ব এবারের জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নেও স্পষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। রওশন ও তার অনুসারীদের অনেকেই দলের মনোনয়ন ফরমই তোলেননি। কেউ কেউ তুলেও মনোনয়ন পাননি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সম্প্রতি রওশনের ‘সম্মানার্থে’ ময়মনসিংহ-৪ আসনটি ফাঁকা রাখার কথা বলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তবে পরে সেই আসনে মনোনয়ন দেয়া হল মুসা সরকারকে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।