বিএনএ, ঢাকা: একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাবিজ্ঞানী ও গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান (৮৪) মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেশি-পেশার ব্যক্তিরা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন।
ভাতিজা আপেল মাহমুদ শিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের (সিসিইউতে) মনিরুজ্জামানকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। রাতে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে বাদ এশা তাঁর প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মনিরুজ্জামানের জন্ম ১৫ ফ্রেরুয়ারি ১৯৪০ সালে পুলিশ অফিসার বাবার কর্মস্থল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত ঝিনাইদহে। পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর রায়পুরার আদিয়াবাদে। তার পিতার নাম মাে. নাদিরুজ্জামান, মাতা মরহুমা মােসাম্মৎ ফরিদান্নেছা।
ড. মনিরুজ্জামান এর শিক্ষাগত জীবন-ভারতের চব্বিশ পরগনার স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পৈতৃক নিবাস আদিয়াবাদ এসে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে ভর্তি হয়ে ১৯৬০ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পরে ভারতের মহীসুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। কর্মজীবনে মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ও কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টি গ্রন্থ ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০২৩ সালে একুশে পদক পান ড. মনিরুজ্জামান। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের SOAS কেন্দ্রের ফেলাে।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা