14 C
আবহাওয়া
৯:৪২ পূর্বাহ্ণ - জানুয়ারি ৯, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » কক্সবাজার এলও অফিসে দালালের উৎপাত

কক্সবাজার এলও অফিসে দালালের উৎপাত


বিএনএ, কক্সবাজার : আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলনে মরিয়া কক্সবাজার সদর ও রামুর একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট। ইতিমধ্যে প্রকৃত জমির মালিকের টাকা অবৈধ পন্থায় তুলে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে এ কাজে বরাবরই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন ও ভূমি অধিগ্রহন শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী।

ভুক্তভোগী কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মোহাম্মদ হাসান ও মনজুর আলম জানান, জনৈক মহেশখালীর আমান,কক্সবাজার পৌরসভার , নুনিয়াছড়ার হাসান, শাহজাহান, জুয়েল, জাফর, দিদার,বরখাস্তকৃত তহশীলদার জয়নাল,রিদোয়ান,আনোয়ার, আলমগীর, মুজিব,সেলিম,শামশুল আলম,আনচার,করিম,নজরুল বাবর সহ ৮০ /৯০ জনের শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট এল ও অফিসের দালালী করে জিরো থেকে এখন হিরো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এর মধ্যে অনেকে ইতিপূর্বে দুদকের হাতে দালালী করতে গিয়ে আটক ও হয়েছিল।

সর্বশেষ রামু ও কক্সবাজার সদরের দুই টি এলএ মামলা নিয়ে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে। ফাইল গায়েবের মতো ঘটনা ঘটছে ,আদলতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তড়িঘড়ি করে প্রতিপক্ষের হাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দালালের মাধ্যমে বিরোধীয় জমির অধিগ্রহণের কোটি কোটি টাকা তুলে দেয়ার পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এল এ মামলার বাদী পিএমখালীর মোহাম্মদ হাসানসহ অনেকে।

তিনি গনমাধ্যমকে জানান,রামু ফতেহারকূল মৌজার এল এ মামলা নং ৩/২০১৬-২০১৭ যার বিএস খতিয়ান নং ১৯৬,৯০৬ ও কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার এল এ মামলা নং ০৪/২০১৬-২০১৭ যার বিএস খতিয়ান নং ১৩৭৭,৮৭৩,২৭৫,৫৭১ ও ১৪৯৪ খতিয়ান ভূক্ত জমি অধিগ্রহন করা হলে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তারপর ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহনের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান করেন।ওই মামলায় ডিসি,এডিসি( রাজস্ব)ও এল ও কে ও বিবাদী করা হয়েছে।

এল এ মামলা নং ০৪/২০১৬-২০১৭ এর বিবাদী মনজুর আলম ও গিয়াস উদ্দীন জানিয়েছেন, দালাল মো আমান ইতিপূর্বে ভূল তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিলংজা মৌজার উল্লেখিত খতিয়ানের অধিগ্রহনকৃত জমি থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। অবশিষ্ট টাকা ও অবৈধ পন্থায় উত্তোলনের জোর পায়তারা চালাচ্ছেন। দালাল আমান মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার ও রামুর শত শত একর অধিগ্রহনকৃত বিরোধীয় জমির টাকা উত্তোলন করে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

যতই দুদকের অভিযান চলুক,গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করা হোক না কেন ভূমি অধিগ্রহন শাখায় দালালের উৎপাত কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।অসংখ্য ভুক্তভোগীর অভিযোগ দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের কমিশনের টাকা না আসা পর্যন্ত কোন ফাইল নড়ে চড়ে না। শুধু তাই নয়, যাদের জমি অধিগ্রহনে পড়েছে তাদের টাকা উত্তোলন করতে গেলে আগে দালালের মাধ্যমে অগ্রিম চেক বা নগদ টাকায় গুনতে হয়। টাকা না থাকলে শতকরা ৫ শতাংশ সুদে টাকা ধার দেয়ার ও একাধিক দালাল ঘুরঘুর করছে ডিসি অফিসের আশেপাশে। শহরের বিভিন্ন হোটেল ও বাসাবাড়িতে শতাধিক দালালের অফিস রয়েছে। যাদের কাজ হচ্ছে ৩০/৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দালালের মাধ্যমে কেটে রেখে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে হরিলুট করা।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান জানান,দালালদের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহনের টাকা পরিশোধ না করতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যে সব ভূমি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে বা আদালতের নির্দেশনা আছে সে সব জমির অধিগ্রহণের টাকা যথাযথ আইন মেনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কোন কর্মকর্তা কর্মচারী অনিয়ম বা দূর্নীতি করে থাকলে, এ ধরনের অভিযোগ বা প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে আইনি জটিলতায় পড়ে কেউ হয়রানীর শিকার হলে তা মানবিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব বিষয় গনশুনানির ব্যবস্থা করে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ