26 C
আবহাওয়া
৭:২৮ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিআরবিতে জোড়া খুন: ৬৩ আসামির বিচার শুরু

সিআরবিতে জোড়া খুন: ৬৩ আসামির বিচার শুরু

সিআরবিতে জোড়া খুন: ৬৩ আসামির বিচার শুরু

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সিআরবিতে জোড়া খুনের মামলায় ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২৫ মে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফখরুদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগপত্রে যে ৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি সবার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্ত ৬৩ আসামি হলেন- যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার গ্রুপের যুবলীগ নেতা রিটু দাশ, প্রেমাশীষ মুৎসুদ্দী, অজিত বোস, মোহন তাঁতী, খোকন চন্দ্র তাঁতী, অজিত দাশ, চান মিয়া, রাজু, রাকেশ, সুমন, টিটু দাশ, লাবলু ঘোষ, টিপু, আসলাম, ছোটন বড়ূয়া, সুমন চৌধুরী, শিবু দাশ চৌধুরী, শিমুল প্রসাদ পিন্টু, ফারুক, জসিম, মনির মিয়া, আনু মিয়া, ইউসুফ, জাহিদ, জহির, ফরিদ ও মনির।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন ও তার অুনসারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু, ছাত্রলীগ নেতা অমিত চক্রবর্তী শশি, মোহাম্মদ টিপু, ওসমান গণি দুলু, মনোয়ারুল আলম চৌধুরী, জাহেদ, আমিন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরীফ আহমেদ, আমির হোসেন আমু, রায়হান আহমদ, কামরুল হাসান, নজরুল ইসলাম, রানা আহমেদ, মনিরুজ্জামান দিনার, হাসমত আলী রাসেল, সুজয়মান বড়ুয়া, জমির উদ্দিন, আবু জাফর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, রাজু মুন্সী, ফয়সাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, জাফর, পিয়াল আইচ, তারেকুর রহমান, ইলিয়াছ, জাবেদ হোসেন, রুবেল চন্দ্র দাশ, নাজমুল হাসান, আশরাফুল হোসেন, মিলন, আশরাফুল আলম, রবিউল ইসলাম জিলানী, কিয়াস কুমার দাশ ও বিশ্বজিত দাশ।

উল্লেখ, ২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের কোটি টাকার দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।

দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা বদলের পর ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর প্রথম অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। তাতে ৬২ জনকে আসামি এবং ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। এর দুদিন পর তৎকালীন মহানগর হাকিম নওরিন আক্তার কাঁকন অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে ‘অধিক গুরুত্বের সঙ্গে’ তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে। সেখানে ৬৪ জনকে আসামি করা হয়, সাক্ষী করা হয় ৭ জনকে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ