বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তামাক চাষে উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি। তামাকের বিষক্রিয়ার কারণে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, পাশাপাশি কৃষক পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও সাতকানিয়া উপজেলার যেসব আবাদি জমিতে ধান, টমেটো,বেগুন, শিম, সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে।
তামাক চাষে আগ্রহ বাড়ার কারণ ও রয়েছে, তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভন ও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়ন,কেঁওচিয়া ইউনিয়ন, ছদাহা ইউনিয়ন, এবং সোনাকানিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল, চরাঞ্চল ও জমিগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে তামাক চাষ। নারী-পুরুষ ও শিশুদের দিয়ে তামাকের পরিচর্যা করা হচ্ছে।
শুষ্ক মৌসুমে সাঙ্গু নদীর দুই পাড়ে জেগে ওঠা চরের জমিতে আবাদ হওয়া ফসলের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই তামাক।
ছদাহা ইউনিয়নের একজন তামাক চাষী বলেন, সবজি চাষে খরচ বেশি দিতে হয়,যেমন খরচ সেই অনুপাতে আমরা টাকা পাইনা, এছাড়াও সিগারেট কোম্পানির মাধ্যমে তামাক চাষিদের জন্য একর প্রতি জমিতে বীজ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সারের জন্য দেওয়া হয় আগাম টাকা। শুধু তাই নয়, উৎপাদিত তামাক সঠিক মূল্যে কৃষকের বাড়ি থেকে কেনার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়। এ কারণে এলাকায় রবি মৌসুমে তামাক চাষ বেড়েই চলেছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এবার উপজেলায় তামাক চাষ হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বাজালিয়া, কেঁওচিয়া, ছদাহা, কালিয়াইশ ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কিছু জমিতে এ আবাদ হয়েছে। সরকারিভাবে তামাক চাষ এখনও নিষিদ্ধ নয়।তারপরেও তামাক চাষ বন্ধে আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের চাষ না করার জন্য নিরুৎসাহিত করছি এবং এর বিকল্প লাভজনক ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছি।
বিএনএনিউজ/ নাবিদ