32 C
আবহাওয়া
১:২৪ অপরাহ্ণ - অক্টোবর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু

কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু

কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু

বিএনএ, চট্টগ্রাম: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলে দেওয়া হয়েছে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। সংস্কার কাজের জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতু দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া এবং রাঙ্গুনিয়ার এক অংশের মানুষ চট্টগ্রাম নগরে আসা-যাওয়া করে থাকেন। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান হয়েছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের পর সেতুটি খুলে দেওয়ায় রেলওয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

সেতুর সংস্কার কাজ চলায় নগরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ ১৪ মাস ব্যবহার করতে হয় ফেরি। এসময় এ পথের যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ। ঘটে প্রাণহানিসহ একাধিক দুর্ঘটনা। সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হওয়ায় এ দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন সেতু ব্যবহারকারীরা।

কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচলে আপাতত টোল রাখছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে চলতে পারবে না ট্রাক-বাসের মতো ভারী যানবাহন।

কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু
কালুরঘাট সেতুতে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, সেতুটি চলাচলের উপযোগী হওয়ায় রোববার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ৯০ বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী সেতু দিয়ে বড় ট্রাক ও বাস চলাচল করতে পারবে না। টোল ছাড়াই আপাতত যানবাহন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ভূ-সম্পত্তি বিভাগ শিগগিরই রেলসেতু দিয়ে চলা যানবাহন থেকে টোল আদায়ে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট ৯০ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে।

সেতুতে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর সেখানে পানি জমবে না। সেতু নির্মাণের ৯৩ বছর পর রেল ও যানবাহন চলাচলের সঙ্গে এখন পথচারীরা পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নতুন সেতুর নির্মাণকাজ যেন দ্রুত শুরু করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়।

বিএনএনিউজ/ বাবর মুনাফ/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ