16 C
আবহাওয়া
৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিতু হত্যাকাণ্ড : বাবুলের নারাজি আবেদনের আদেশ ৩ নভেম্বর

মিতু হত্যাকাণ্ড : বাবুলের নারাজি আবেদনের আদেশ ৩ নভেম্বর

ভোলার ন্বীকাররোক্তি: বাবুলই মিতু হত্যার নির্দেশেদাতা

বিএনএ, চট্টগ্রাম: মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদনের পরবর্তী শুনানি ৩ নভেম্বর। বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে নারাজি আবেদনের শুনানি হয়েছে।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ফেনী কারাগারে থাকা বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, নারাজি আবেদনের পক্ষে আজ আমরা আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। আগামী ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন এই বিষয়ে আদেশ দিবেন আদালত।

নারাজি আবেদনে বলা হয়েছিল, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সিনিয়র অফিসার থেকে মামলার তদন্তভার নিয়ে জুনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে মামলা তদন্ত করা বাবুল আক্তারের প্রতি অসম্মানজনকও। মূলত মহল বিশেষের কথা মোতাবেক সিনিয়র তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ না করায় জুনিয়রকে দিয়ে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ২০১৬ সালের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার। চলতি বছরের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দাখিলের পর গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

ওইদিনই (১২ মে) বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর মামলার এক আসামি এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছেন, বিশ্বস্ত সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার মুছাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাকে দিয়ে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করায় তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ