বিএনএ ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহার করায় দেশে যে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিএনপি সেই একই সংকট ফের সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীর কামাল আতার্তুক এভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে ‘অনন্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সে সময় তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি’র কিছু নেতাকর্মীর মুখে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ দাবিতে গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই তাদের এ ষড়যন্ত্র। এ সরকারের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তা সবার জানা আছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক উদ্যোগ ও অর্জনকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। বাসে আগুন দেয়া, সন্ত্রাসবাদ-জ্বালাও পোড়াও করে তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। তারা কখনও এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় এদেশের মানুষকে ভিখারি জাতি হিসেবে দেখতে চায়। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের দুই শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। দেশের প্রতিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নাম মিশে থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আজ পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রতিবেশী দেশসমূহ হতবাক হয় বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে। এসব কিছু এমনিতেই হচ্ছে না। একজন শেখ হাসিনা আছে বলেই সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বীয় যোগ্যতা, মেধা-বুদ্ধি, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে শতবাধা উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে এবং স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে। এখন এসডিজি বাস্তবায়নেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এসবের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বিভিন্ন পদক ও সম্মানে ভূষিত করছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিস সারাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
