বিএনএ,ঢাকা: বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন।যেটি শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালে যারা দেশদ্রোহী ছিলো তাদের বিচারের আওতায় এনে। এর পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ রুখতে হবে এবং দূর্ণীতি গ্রস্থদের প্রতিহত করে জনগনকে ভালোবাসতে হবে। সমর্থকদের সমর্থন হারাবে এমন উগ্রবাদী রাজনীতি পরিহার করে জনগনকে সচেতন করতে হবে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম কতৃক আয়োজিত শেখ হাসিনা-নেতৃত্ব,মানবিকতা ও দূরদৃষ্টি বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড.শামসুল আলম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সকল বাধাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে তা আমরা ইতোমধ্যে প্রমান পাচ্ছি এবং স্বচোখে দেখছি।প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন শুধু ২০২১ সালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি তিনি বলেছেন আমরা উন্নত দেশ হবো এবং বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে তা ২০৪১ সালের মধ্যেই সম্ভব হবে। আজকে বাংলাদেশ দক্ষিন এশিয়ায় মাতৃ মৃত্যুর হারের দিক থেকে সর্বনিম্ন, শিশু মৃত্যু হারে দক্ষিন এশিয়ায় সর্বনিম্ন, জেন্ডার ইকুয়েশনে বাংলাদেশ এগিয়েছে,নারীর ক্ষমতায় বেড়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণেই।
তিনি আরো বলেন,আমরা একটা এ্যাকশন প্লান তৈরি করেছি,কোন উপখাতে বা কোন খাতে আমরা বেশি গুরুত্ব দিবো তা নির্ধারণ করে।আগামীতে আমরা প্রবৃদ্ধি হারের উপর গুরুত্ব দিবো যেটার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে।বেকারত্ব দূর হবে।দেশ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালে দেশে অশিক্ষিত থাকবেনা,বেকারত্বও থাকবে না।আমাদের সংবিধানেই বলা আছে পরিকল্পনা মাফিক দেশ এগোবে।
এসময় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড.মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক অধ্যাপক.মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। মুল প্রবন্ধে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট একেএম শহীদুল হক,রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.বিশ্বজিৎ ঘোষ,পিয়ূষ বন্দোপাধ্যায়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ সহ অনেকে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.মীজানুর রহমান বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ দূরদৃষ্টিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।সকল প্রতিকূলতা দূর করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দ্বায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্ব নিজের ঘর থেকে শুরু হয়েছে।আমরা ডটার্স টেল প্রামাণ্যচিত্র দেখলেই বুঝতে পারি শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি নেতৃত্ব ঘর থেকে শুরু হয়েছে। আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ তিনি যেভাবে সুরাহা করেছেন সেটা প্রশংসার দাবিদার। আমরা তার ধৈর্য ও সাহস দুটি সেসময় দেখতে পেয়েছি। শেখ হাসিনা রাজনীতিকে ক্যান্টেনমেন্ট থেকে জনগনের কাছে নিয়ে এসেছেন এবং এক্ষেত্রে তিনি সফলও হয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
বিএনএ নিউজ২৪.কম/শহীদুল/এইচ.এম।