চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হবে। তবে এ ভোটে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার থাকছে না। ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানোসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, উপনির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি ভোটকক্ষে ভোট নেয়া হবে। সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ থেকে ১৭ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ (নৌকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মাদ ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির কামাল পাশা (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মো. রমজান আলী (একতারা)।
এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ ও নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। কিন্তু গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। তারপর নির্বাচনের আয়োজন করে ইসি।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে লাইসেন্সধারীদের অস্ত্রের প্রদর্শন ও বহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবেন জেলা প্রশাসক।
নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে ইতিমধ্যে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি মাঠে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভোটের দু-দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ
