বিএনএ: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ছাত্রলীগের শাখা সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনের সিট বাতিল করে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১ মার্চের মধ্যে তাদের হল ছাড়তে হবে।
হলে ছিট বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে-পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সেশন: ২০১৭–১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০–২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০–২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০–২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রভোস্টসহ হলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেখানে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত হলের তদন্ত কমিটির সদস্যরাও ছিলেন। পরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
হল প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘তাঁরা (অভিযুক্তরা) তো হলে থাকার যোগ্য না। কারণ তাঁরা হলে থাকলে এ রকম আরও খারাপ কাজ করবে। এটা পাওয়ার তাঁরা যোগ্য। আরও কিছু পাওয়ার যোগ্য হলে সেটাও পাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরীর ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
পরে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার তাঁর মুঠোফোন দিয়ে ফুলপরী খাতুনকে বিবস্ত্র করার ভিডিও ধারণ করেছিলেন। তদন্ত কমিটির কাছে হালিমা দাবি করেছেন, তাঁর মুঠোফোনটি হারিয়ে গেছে। হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই ফোন উদ্ধারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এ আর