বিএনএ চবিঃ “আবার আসিব ফিরে বর্ণিল এই প্রাঙ্গণে ” প্রতিপাদ্যে চবিতে ৩৩তম ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু প্রোগ্রাম।শুরু হয়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে ঘেরা ক্যাম্পাস, সবুজের অরণ্যে ভরপুর, যা কারো কাছে ভালোবাসা কারো কাছে আবেগের নাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যে বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে হাজারো জ্ঞানী গুনীজনের। সেই বিদ্যাপিঠে প্রায় দুই যুগ পর এসে আবেগে আপ্লুুত হচ্ছেন কেউ, কেউ বা আবার পুরোনো সহপাঠীদের সাথে মেতে উঠছেন গল্পে আড্ডায়। সন্তান এসেছে মায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে। মা সন্তানকে দেখাচ্ছেন এই বলে বাবা, এটা হচ্ছে আমার ক্লাসরুম যেখানে আমি পাঁচটি বছর কাটিয়েছি। এমন পরিবেশের দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৩৩তম ব্যাচের ২০২৩ সালের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজুদ্দৌলাহ, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ- উপাচার্য বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এরকম অনুষ্ঠান বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। এতে করে ব্যস্ত জীবনের একঘেয়েমি দূর হবে।
গণিত বিভাগের ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মঈনউদ্দীন, যিনি বাংলাদেশ স্টিল রি- রোলিং মিলস লিমিটেডের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, স্ত্রী ও দু-সন্তানকে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। আমি ১৯৯৮ সালে এই ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন ২০২৩ সাল কিন্তু আমি ১৯৯৮তেই যেন ফিরে গেছি। শহর থেকে শাটল ট্রেনে করে বন্ধুদের সাথে আসা সেইসাথে পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে মনে হচ্ছে যেন সেই ১৯৯৮ তে ফিরে গেছি। এরকম একটা অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
মূল প্রোগ্রামে ছিল ম্যাজিক শো ও পাপেট শো, শিশুদের অংশগ্রহণের নাচ-গান ছড়া পরিবেশন, সম্মাননা প্রদান, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র্যাফেল ড্র। সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এ মিলনমেলার পরিসমাপ্তি ঘটে।
বিএনএ/ সুমন বাইজিদ,ওজি