24 C
আবহাওয়া
২:১৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে হামলার অভিযোগ

চট্টগ্রামে রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে হামলার অভিযোগ

চট্টগ্রামে রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে হামলার অভিযোগ

বিএনএ: চট্টগ্রামে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তিনি চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানায় পাহাড় কেটে ভরাট করা ছড়া পরিদর্শন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে লেকসিটি আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় রিজওয়ানা হাসানকে বহনকারী গাড়িটি আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম ওরফে জসিমের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জহুরুল আলম উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

পুলিশ জানায়, দুপুর পৌনে ১টার দিকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে বেলার একটি দল আকবরশাহ থানা এলাকার লেকসিটি আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে যায়। প্রথমে লেকসিটি আবাসিক এলাকা পেরিয়ে কালিরছড়া খাল ভরাটের জায়গাটি পরিদর্শন করেন তারা। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের অনুসরণ করতে থাকেন।

এ সময় এক যুবক গিয়ে রিজওয়ানা হাসানের কাছে পরিচয় জানতে চান এবং কেন তারা সেখানে গিয়েছেন জানতে চান। পরে কালিরছড়া খাল ও পাহাড় কাটা পরিদর্শনের সময় কাউন্সিলর জহুরুল আলমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন যুবক সেখানে হাজির হন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, যুবকদের মারমুখী অবস্থানের কারণে তারা পরিদর্শন কাজ অসমাপ্ত রেখে বায়েজিদ সংযোগ সড়কে একটি চায়ের দোকানে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় কিছু যুবক অস্ত্র নিয়ে আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। এরমধ্যে গাড়ির চালক খবর দিলেন, লেকসিটি গেটে গাড়ি আটকে রেখেছে। পরে পুলিশ গাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। রিজওয়ানা হাসান জানান, গাড়িতে উঠার সময় ওই যুবকরা তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। পাশাপাশি ধাওয়া করে আসা যুবকেরা গালিগালাজ করছিলেন।

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। তারপরও একটি ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

কাউন্সিলর জহুরুল আলম জানান, তার লোকজন সেখানে ছিলেন। কিন্তু কাউকে পাথর মারার বিষয়টি তিনি জানেন না। ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই আসে না বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, লেকসিটিতে জহুরুল আলমের নেতৃত্বে পাহাড় কাটা হয়। এ বিষয়ে জহুরুল আলম বলেন, লেকসিটিতে আগেই পাহাড় কাটা ছিল। তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ সত্য নয়।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ