বিএনএ, সিলেট : উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটক উন্মুক্ত করে দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় এই ফটক উন্মুক্ত করে দেন তারা।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে গত ১৬ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত ১৯ জানুয়াির থেকে এই দাবিতে অনশন শুরু করেন ২৮ শিক্ষার্থী। তবে বুধবার সকালে অধ্যাপক মুহম্সদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার করেন তারা।
একটি হলের প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা। ১৬ জানয়ারি থেকে উপাচার্য পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
এদিকে, টানা ১০ দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস উত্তাল থাকলেও বুধবার দুপুরের পর থেকেই অনেকটাই নীরব ছিলো ক্যাম্পাস। পুরো ক্যাম্পাসে দিনভর আন্দোলনকারীদের তেমন উপস্থিতি ছিলো না। ১০ দিনরে উত্তাল ক্যাম্পাস বুধবার ছিলো একেবারেই শান্ত সুনসান। কোথাও কোন কর্মসূচী ছিলো না।
বুধবার রাতে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রোমিও নিকোলাস রোজারিও ও মোহাইমিনুল বাশার রাজ।
রাজ বলেন, আমাদের ৫ টি দাবির মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যের মদদে সংঘটিত পুলিশী হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
রাজ আরও বলেন, আমাদের মূল দাবি উপাচায় ফরিদ উদ্দিন প্রত্যাহার এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের ব্যাপারে এখনও কোন সিদব্ধান্ত হয়নি। তবে জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই দাবি পুরণে দায়িত্বশীলদের সাথে আলাপ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সাথে ক্যাম্পাসের সমস্ত আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল রেখেছে সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।