27 C
আবহাওয়া
৭:২২ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

।।সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ।।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরব হয়ে উঠেছে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।সংগঠনটি প্রায় এক দশক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতিতে কোনঠাসা অবস্থায় ছিলো।সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কমিটি ঘোষণাসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সাথে সাত দফা দাবি নিয়ে সংগঠনটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আগামী দুই বছরের জন্য ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেনকে সভাপতি ও ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রইছ উদদীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করার কথা জানায় সংগঠনটি।

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দ্বন্দ্বে সুযোগ নিচ্ছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আওমীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল দুইটি অংশে বিভক্ত।একটি অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল বালা ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।অন্য আরেকটি অংশে মার্কেটিং বিভাগে অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন সভাপতি ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিজ আহমদ সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।আওয়ামীলীগের ঘোষিত ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের কর্মসূচী গুলো তারা আলাদা ভাবে পালন করে আসছেন।তাদের দ্বন্দ্ব অনেকটা প্রকাশ্যে।এমতবস্থায় বিভিন্ন বিভাগে আবারও সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে সাদা দলের শিক্ষকদের।

শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ফ্যাক্টর সাদা দলের ভোট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিএনপিন্থী শিক্ষকদের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক।বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় অনেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন।তবে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন নিয়মিত। অনেকেই বিএনপির নেতৃত্ব স্থানীয়দের সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎও করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে সাদা দল অংশ না নিলেও ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেনি।আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নীল দলের দুটো অংশের সদস্য সংখ্যা প্রায় সমান।ভোটের লড়াইয়ে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সাদা দলের ভোট।

শিক্ষকদের ভোটের রাজনীতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল একজন সিনিয়র অধ্যাপক বলেন,আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুইটি অংশই সাদা দলের শিক্ষকদের ভোট টানতে নির্বাচনের আগে তাদের(সাদা দলকে) বিভিন্ন আশ্বাস দেন।নীল দলের যে অংশ সাদা দলের ভোট টানতে পারে তারাই জয় লাভ করে।এটা এক ধরনের ওপেন সিক্রেট।

বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের এমন সরব হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন বলেন,
আমরা আগেও উপাচার্যের এর সাথে বৈঠক করেছি।আগের উপাচার্যের সাথেও আমাদের বৈঠক হয়েছিল। সর্বশেষ বৈঠক আমরা মূলত আমাদের নতুন কমিটি হয়েছে এর সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি।তখন আমরা কিছু দাবি তুলে ধরি।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছেন কিনা।এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,এটার পিছনে জাতীয় নির্বাচনের কোন কারণ নেই।স্বাভাবিক কার্যক্রম এর অংশ হিসাবে আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমরা সব সময়ই ছিলাম।

বর্তমান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা হয়ত তাদের দলের কাছে ইমেজ তুলে ধরতে চায়।দীর্ঘ দিন পর তাদের সরব হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন,তারা কেনো এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিলো এই বিষয়ে তারাই ভাল জানে।বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা সরব হলে আমাদের আওমীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব আছে সেটাও শেষ হবে।আমরা আওয়ামীপন্থীরা এক হতে পারবো বলে আশা করি।

আওয়ামীপন্থী নীল দলের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন,সাদা দল এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতিতে নির্বাচন করেছে।তারা এত দিন কেনো  নিষ্ক্রিয় ছিলো সে বিষয়ে তারাই ভাল বলতে পারবে।বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন আছে। আইনের মধ্যে থেকে যার যার কর্মকাণ্ড সে চালিয়ে যেতে পারবে।এই বিষয়ে আমাদের শঙ্কার কিছু নেই।

বিএনএ নিউজ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ