24 C
আবহাওয়া
১২:২৭ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা মামলা, সাক্ষ্য দিলেন আরও ৮ জন

সিনহা হত্যা মামলা, সাক্ষ্য দিলেন আরও ৮ জন

সিনহা হত্যা মামলা, নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন ১৫ আসামি

বিএনএ কক্সবাজার: মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৬ষ্ঠ দফায় প্রথম দিনে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২৫শে অক্টোবর) আদালতে দেয়া সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন  পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল পলাশ ভট্টাচার্য, পুলিশ সদস্য আবু সালাম, হিরো মিয়া, সালা মারমা, নবী হোসেন আবুল কালাম ও শহীদ উদ্দিন।

এরআগে সকাল সাড়ে দশটায় ওসি প্রদীপসহ  মামলার ১৫ জন আসামির উপস্থিতিতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

পরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সোমবার মেজর সিনহা হত্যা মামলার ৬ষ্ঠ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সিনহার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। মোট ১৯ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতে সাক্ষ্যদানকালে এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই রাতে ঘটনার দিন তিনি কক্সবাজার সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে ডিউটিতে যান। সে সময় তার সঙ্গে কনস্টেবল পলাশ ও শুভ ছিলেন। কক্সবাজার  জেলা সদর হাসপাতালের ডোম মনু ও ধলার সহযোগিতায় সিনহার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন তিনি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মেজর সিনহার ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রীর জব্দ তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। পরদিন ১লা আগস্ট  বিকেলে  রামু ক্যান্টনমেন্টের সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান ও আনিসুর রহমানের নিকট মেজর সিনহার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্তকালে আইওর কাছে এ ব্যাপারে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালতকে জানান এসআই আমিনুল।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই হয়ে তিনটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফে, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ১২ জন । তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২-১৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ