বিএনএ ঢাকা: সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের সহিংস কর্মকাণ্ডের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৫ এপ্রিল) কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বোর্ডের অফিস সম্পাদক মু. অছিউর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া মাদ্রাসায় স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।সভায় ঠিক হয়, কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবে আল-হাইআতুল উলয়া। আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন এক বা একাধিক বোর্ড কিংবা কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্ত ব্যতীত পৃথকভাবে কওমি মাদ্রাসা বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
কওমি মাদরাসার যে নিরীহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের গ্রেফতার করা হয়েছে, রমজানের এই রহমতের মাস বিবেচনায় সরকারের নিকট তাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি নিরীহ আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানি না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
রমজানের মধ্যেই সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেয়া এবং রমজানের পর কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আবেদন জানানো হয়েছে।
আল-হাইআতুল উলয়ার সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সদস্যরা হলেন, মওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী ও মওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন।
সভায় আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি ওয়াক্কাসের মাগফিরাত কামনা এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীসহ বিশ্বমানবতার জন্য দোয়া করা হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
