বিএনএ রিপোর্ট: রবিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি২০২৪) রাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রজনী। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘নিষ্কৃতি/মুক্তির রজনী’ বলা হয়।
রাজধানী, ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদ,এবাদতখানাসমূহ রাতে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায়পূর্ণ হয়ে যায়। নিজের ও স্বজনদের সব ধরণের সমস্যা,সংকট,দেশের উন্নতি ও কল্যাণ শান্তি কামনায় মুসল্লিরা অশ্রুসজল বিশেষ মোনাজাত করেন।এ সময় অনেকে কবরস্থানেও অনেককে জেয়ারত করতে দেখা যায়।

নফল নামাজ পড়াসহ বিশেষ দোয়া দরুদ পাঠ, মহান আল্লাহতায়ালার নিকট ক্ষমা,রিজিক,হায়াত, দু:খ কষ্ট লাঘব, বিপদ মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করাই এ রাতের ইবাদত। অনেকে এ রাতে সেহেরি খান রোজা রাখার উদ্দেশ্য।
নবী(সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।
রসুলুল্লাহ ( সা.) বলেন, এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত)। আল্লাহ তায়ালা এ রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন। অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। (তাবারানি ১৯৪)
পবিত্র শবেবরাতের দোয়া
রমজানের দুই মাস আগ থেকেই রাসুল (স.) একটি দোয়া বেশি বেশি পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই দোয়াটি আমরা পুরো রজব-শাবানে পড়তে পারি। দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ (অর্থ) ‘হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দিন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (স.) এই দোয়া পাঠ করতেন। (বায়হাকি: ৩৫৩৪; নাসায়ি: ৬৫৯; মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)।
নিচের দোয়াটাও এ রাতেও পড়া যায়।
للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى উচ্চারণ: আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি। অর্থাৎ হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও। এ ছাড়াও এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, তাসবিহ পাঠ পর দিন রোজা রাখার অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে।
এসজিএন