বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: মার্চ থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেম। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেম ডিজিটালাইজড হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে।টিকিটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সবকিছু অনলাইনে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। পৃথিবীর প্রায় সবদেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আরও বাড়ানো দরকার। লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখার দরকার নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা ও কার্গো পরিবহন থাকা একান্ত ভাবে দরকার। বলেন, কার্গো সার্ভিস চালু থাকলে বিমান আরও লাভজনক হবে। কার্গো হ্যান্ডলিং, বিমান হ্যান্ডেলিং আন্তর্জাতিক মানের করার নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সেবা নিতে যাত্রীরা যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। বলেন, আমাদের কাস্টমস সিস্টেমটাও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করতে হবে। মানুষ যখন বিদেশ থেকে আসে তখন হয়তো কিছু পণ্য ক্রয় করে নিয়ে আসতে চায়। তারা যেন কোনো হয়রানির মধ্যে না পড়ে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রবাসীদের প্রতি আরও আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা দেশের জন্য কাজ করে। প্রায় এক কোটির মত লোক আছে। ছুটির সময় তারা দেশে আসেন। তারা যেন কোনোরকম হয়রানির শিকার না হয়, সেটার জন্য আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে।
নতুন উড়োজাহাজগুলো যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ এবং কার্যকর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করার জন্য একটা ইউনিট করতে চাই আমরা। এটার জন্য প্রশিক্ষণ ও কিছু লোকবলের দরকার আছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল হয়ে গেলে আমাদের বিমানের দক্ষতা আরও বাড়বে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রাডার স্থাপন করা হবে। রাডারে সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের না, আমাদের আকাশসীমা দিয়ে অন্য যত দেশের যত বিমান যাবে সবার জন্যই এটা লাভজনক হবে।
এদিকে বিমানের সুবর্ণ জয়ন্তীতে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্বারক ডাকটিকেট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ ক্যান্সেলার ব্যবহার করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিমানের একটি স্যুভনিয়র গ্রহণ করেন।
ডাকটিকেট, খাম ও ডাটা কার্ড ডাকটিকেট ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রয় করা হবে এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও ও প্রধান পোস্ট অফিসেও পাওয়া যাবে।
বিএনএ/ এ আর