31 C
আবহাওয়া
২:৪৪ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাঙামাটিতে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটিতে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটিতে বাবা-ছেলেসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

বিএনএ,রাঙামাটি : রাঙামাটির বিলাইছড়ির দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে নতুন সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি-চীন পার্টি’র গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা ও ধনরা ত্রিপুরা। এদের মধ্যে সুভাষ এবং ধনরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ইউনিয়ন সভাপতি আতুমং মারমা। একই তথ্য জানিয়েছেন বড়থলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়েইবার ত্রিপুরাও।

আতুমং মারমা বলেন, মঙ্গলবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ‘‌কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা ও তার ছেলে ধনরা ত্রিপুরার মৃত্যু হয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে বুধবার (২২ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত কেউই ঘটনাস্থলে যায়নি। আমি এখন ঘটনাস্থলে আছি।

এ বিষয়ে রাঙামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনো নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, বড়থলির চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিন দিন ও পার্শ্ববর্তী রুমা উপজেলা থেকে যেতে দুই দিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে।

এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে বিবৃতিতে দিয়েছে ‘কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামে একটি সংগঠন। এতে বলা হয়েছে, ‘কেএনএফ-এর স্পেশাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম সন্ত্রাসী জেএসএস-এর সশস্ত্র বাহিনী জেএলএ-এর জাইজাম বেসমেন্ট ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। এতে জেএলএ বাহিনীর তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তবে আহত অবস্থায় ট্রেইনিসহ অন্যরা সবাই পালিয়ে যায়। এ সময় জেএলএ’র এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে এক শিশু আহত হলে কেএনএফ কমান্ডোরা পাড়াতেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র তার মায়ের কাছে রেখে যায়। সেই সময় গ্রামে থাকা ২ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রচুর তথ্য পাওয়া গেছে।’

বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ