29 C
আবহাওয়া
১:১৩ পূর্বাহ্ণ - জুন ৯, ২০২৩
Bnanews24.com
Home » প্রাইভেট গাড়িতে যাত্রী কেন ?

প্রাইভেট গাড়িতে যাত্রী কেন ?

প্রাইভেট গাড়িতে যাত্রী কেন ?

বিএনএ ডেস্ক ঢাকা: দেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার চারপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ সাত জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জও আছে এই লকডাউনের আওতায়। মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা দূরপাল্লার বাসও বন্ধ রয়েছে। এই জেলাগুলোর মধ্যে যেগুলোতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে ট্রেন দাঁড়াবে না।

দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাকে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চালুর রাখার নীতিরও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন এসেছে, যাদের গাড়ি আছে শুধু তাদের জন্য কেন সুযোগ থাকবে। সব করোনা কি বাসের ভেতর? দেশের আর কোনখানে কি করোনা নেই? ট্রাক চলছে, প্রাইভেট কার চলছে, মাইক্রোবাসে যাত্রী বহন করছে, সিএনজি অটোরিকশায় গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছে, এক রিকশায় তিনজন চেপে বাজারে যাচ্ছে। মার্কেটগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই। ঢাকার পাশের জেলাগুলোর পাশাপাশি নাটোর,খুলনাসহ সীমান্তের কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় লকডাউন চলছে।

সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিন সকালে জেলার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে আগের মতোই যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। তবে অন্যান্য সব যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। রাজধানী ঢাকার প্রবেশদ্বার খ্যাত দুই জেলা গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ। সেখানে চলছে সাত দিনের লকডাউন। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অপেক্ষারত যাত্রীরা বলছেন, সরকার লকডাউন দিলেও অফিস-কারখানা বন্ধ নয়। আবার ঢাকায় যাওয়ার বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। কাজে না গেলে চাকরি থাকবে না। হয় যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। না হয় রাস্তায় চলাচলরত প্রাইভেট গাড়ি বন্ধ করতে হবে।

আরেকজন বলেন, ‘কারখানা খোলা রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌঁছাতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি যাওয়ার জন্য বাস নেই। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারা ঠিকই অফিসে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যেতে পারছি না। এক জায়গায় দুই অবস্থা, এটা হতে পারে না। হয় সবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে, না হয় সব কিছু বন্ধ করতে হবে।’

এদিকে নৌপথে আরিচা ও মাওয়া ঘাটের লঞ্চ এবং স্পিডবোট বন্ধ থাকবে, ফেরিতে শুধু মালবাহী গাড়ি পারাপার হতে পারবে। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে থেকে ছেড়ে আসা কোনো নৌযান এ সাত জেলার মধ্যে কোনো ঘাটে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেও দূরপাল্লার কিছু বাস ঢাকার গাবতলী টার্মিনালে এসে পৌঁছেছে। যদিও গাবতলীসহ ঢাকার সব টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে আশপাশের জেলাগুলো থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর হাজার হাজার মানুষ বিশেষ করে শিল্প শ্রমিকরা সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে গাজীপুরে স্থানীয় পর্যায়ে যানবাহন খুব একটা দেখা যায়নি। তবে জেলার ওপর দিয়ে সকালেও দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এর আগে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা,করোনা টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

বিএনএনিউজ/ এমএইচ,এসজিএন

Total Viewed and Shared : 17 


শিরোনাম বিএনএ