36 C
আবহাওয়া
১২:৪৭ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সেশনজটের কবলে বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

সেশনজটের কবলে বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ


বিএনএ,ববি: ইনজামুল (ছদ্মনাম) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)। ৪বছর পর ২০২১ এর ডিসেম্বরে অনার্স ও ২০২২ এ মাস্টার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৩ সালেও শেষ করতে পারেনি অনার্স।
‘৪৪তম বিসিএস দেওয়ার স্বপ্ন ছিলো কিন্তু সেশনজটের কবলে ৪৫তম বিসিএসেও অংশগ্রহণ করতে পারলাম না’ হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ইনজামুল।

২০১৭-১৮ সেশনে ভর্তি হওয়া ববির ২৫টি বিভাগের ১৮টি বিভগে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। সেশনজটের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা, বিসিএস, সরকারি চাকরিসহ অন্যান্য সকল চাকরির বাজার থেকেও পিছিয়ে পড়ছেন তাঁরা।

প্রশাসনের ব্যর্থতা, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট, পরীক্ষার তারিখ পেছানো, প্রশাসনিক জটিলতা, রাজনীতিতে শিক্ষকদের ব্যস্ততা ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিসহ নানা কারণে এই সেশনজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ (সিএসই, গণিত, রসায়ন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), জীব বিজ্ঞান অনুষদ (কোস্টাল স্টাডিজ এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং প্রাণরসায়ন ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (মার্কেটিং, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস এবং ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ), সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ( অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোক প্রশাসন বিভাগ), কলা ও মানবিক অনুষদের ইংরেজি ও বাংলা এবং আইন অনুষদের আইন বিভাগে সেশনজটের কারণে সদ্য ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি বিভাগগুলোর ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ার অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিউল আলম বলেন,” সেশনজটের মূল যে সমস্যাটা আমাদের তা হলো শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষ সংকট আর ল্যাব সংকট। বিভাগগুলোতে যে অনুপাতে শিক্ষক থাকার প্রয়োজন আসলে সেই অনুপাতে নেই। এজন্য একজন শিক্ষককে অনেকগুলো কোর্সের ক্লাস নিতে হয় যা কঠিন ব্যাপার। দ্বিতীয়ত ল্যাব সংকটের কারণে একটি ব্যাচকে তিন থেকে চারটি ভাগে ভাগ করে ল্যাব পরীক্ষা শেষ করতে হয় যার জন্য দেরি হয়ে যায়।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, “বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এটি আরও গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে, কারণ শিক্ষার্থীরা যতদ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়োজিত করতে পারবে তাতেই আমাদের সাফল্য। আমরা আগামীতে বিসিএসসহ সকল ধরনের চাকরির পরীক্ষায় সময়মত শিক্ষার্থীরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেই বিষয়ে নানাবিধ কর্মপ্রয়াস গ্রহণ করব। লক্ষ্যনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে সেশনজটের বিষয়ে। একাডেমিক কাউন্সিল এবং ডিন ও চেয়ারম্যানদের মিটিংএ বিষয়টি যেন গুরুত্ব পায় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে এই বিষয়ে আমি আলোকপাত করব।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, আমাদের মূল যে সেশনজটটি করোনাকালীন সময় থেকে শুরু হয়েছে। করোনাকালীন এবং এর আগের সেশনজট নিরসনে আমি আগে থেকেই ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও, একাডেমিক কাউন্সিল সভায় ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যানদের সেশনজট নিরসনে আরো জোরালো নির্দেশ দিব।

বিএনএ/ রবিউল ইসলাম ,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ