বিএনএ, ঢাকা: ঢাকার ধামরাইয়ে রাতের আঁধারে একটি আঞ্চলিক সড়কের মাটি কেটে লুট করেছে স্থানীয় একটি মাটি খেকো চক্র। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার ভাইয়াডুবি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডাউটিয়া-ভাইয়াডুবি আঞ্চলিক সড়কের প্রায় অর্ধেক অংশ এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে কেটে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা প্রায় কয়েকশত মানুষ। সড়কের মাটি কাটার দায়ে ডাউটিয়া গ্রামের জাকির হোসেন, জুয়েল রানা, সোহেল রানা ও ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে ওই সড়কটি নির্মান করা হয়। তবে একটি প্রভাবশালী মহল সড়কটি মালিকানা দাবি করে এর মাটি কেটে নিচ্ছেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপথের সড়কের মাটি (এক্সেভেটর) ভেকু দিয়ে কেটেছে জাকির হোসেন, জুয়েল রানা, সোহেল রানা ও ফরিদ হোসেনসহ তাদের সহযোগিরা। ফলে মালামাল বহন করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। জাকির ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না। তবে তারা সড়কের মাটি কেটে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে তার বিচার চেয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের পক্ষ থেকেই আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত ফরিদ হোসেন বলেন, যাদের জমি তারাই মাটি কেটেছে। এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা নয়, মালিকানা জায়গা। নিজের জমি না হলে এভাবে কি কেউ মাটি কেটে নেয়? যাদের জমি তারা মাটি কেটেছে এতে জনগণের কি!
সোমভাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ও স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েক বছর আগে ওই সড়কটি পুণঃনির্মান করা হয়েছিল। সড়কটি কাটায় জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, রাস্তার মাটি লুটের বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে এলাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়েছে। থানা যদি বিষয়টি আমাকে সমাধানের দায়িত্ব দেন তাহলে আমার আন্তরিকতার কমতি থাকবে না। যেহেতু থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি থানা দেখবেন।
ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্সকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সড়কের মাটি লুটের বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস-উল-হাসান মারুফের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথের জমি কেউ দখল করতে চাইলে বা মাটি লুট করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। রাস্তার মাটি লুটের ব্যাপারে কাউকে কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি