বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। সম্প্রতি ইসরাইলি-আমেরিকান কাউন্সিলের ন্যাশনাল সামিটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জয়ী হলে, ইসরাইল দুই বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।”
তবে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এই বক্তব্যকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বিভ্রান্তিকর” বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, ইসরাইল আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তিনি নির্বাচনে জয়ী হলেও ইসরাইলের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হবে।
বৃহস্পতিবার(২০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, “ইসরাইলের স্থায়ীত্ব নিয়ে এমন মিথ্যা দাবি করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ইসরাইল আমাদের অন্যতম প্রধান মিত্র এবং ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসরাইলের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমরা মিত্রদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছি, কিন্তু আমার নেতৃত্বে আমেরিকা আবারও কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।”
অন্যদিকে, ইসরাইলি সরকার ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, “ইসরাইলের অস্তিত্ব কোনো নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে না। আমরা শক্তিশালী এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত।”
এই বিতর্কের মধ্যেই পিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ ইহুদি ভোটার কমলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যেখানে মাত্র ৩৪ শতাংশ সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে।
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই ইসরাইল-আমেরিকার সম্পর্ক এবং মার্কিন ইহুদি ভোটারদের নিয়ে বিতর্ক আরও গভীর হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
বিএনএ, এসজিএন