29 C
আবহাওয়া
৯:০২ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গ্রেনেড হামলার সময় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে ছিল:প্রধানমন্ত্রী

গ্রেনেড হামলার সময় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে ছিল:প্রধানমন্ত্রী

গ্রেনেড হামলার সময় দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে ছিল:প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন খুনি দেশে ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ঐ দিন রাত ১১টার দিকে চার জনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে খালেদা জিয়ার সরকার দেশ থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২১ আগস্ট) আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ আগস্টের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,তৎকালীন সরকারের মদদেই এই নারকীয় হামলা হয়েছিল। হামলা পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারের উদাসীনতা প্রমাণ করে তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই এ হামলা হয়েছিল। একুশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে একজন কারারক্ষী জড়িত ছিল। জেলখানার ভেতর গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যা ২১ আগস্ট ব্যবহৃত গ্রেনেডের মত। তারা অনেকগুলো অপরাধী জোগাড় করেছিল। জেলখানা থেকে অপরাধীদের বের করে এনে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকের হাতে যে গ্রেনেডগুলো ছিল তারা সেগুলো মারতেও পারেনি। রমনা হোটেলের সামনের গলিতে সেই গ্রেনেড পরিত্যক্ত পাওয়া যায় এবং কয়েকটি জায়গায় পাওয়া যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থারগুলোর ভূমিকাও ছিল রহস্যজনক। সেদিন পুলিশ আহতদের উদ্ধার না  করে আক্রমনকারীদের নিরাপদে পালাতে সহায়তা করেছে। ঘটনার পরপর উদ্ধার কাজে যুক্ত না হয়ে অ্যাকশনের ভূমিকায় ছিল তৎকালীন পুলিশ। ঘটনার পর আলামত মুছে ফেলারও চেষ্টা করা হয়। সাজানো হয় জজ মিয়ার নাটক। বিচার বিভাগীয় কমিশনের নামে দেয়া হয়েছিল একটি প্রহসনের তদন্ত প্রতিবেদন। তবে, ঘটনাস্থলের সেই দিনের আলামতগুলো প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগ রক্ষা করেছিল বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গ্রেনেড হামলায় আহতরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত পায়নি। হাসপাতালে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরাও সহায়তা করেনি। এমনকি মরদেহ হস্তান্তরে বাধা দেয়া হয়েছিল। সংসদে এ ঘটনায় কথা বলতে দেয়া হয়নি। উল্টো হামলার দায় আওয়ামী লীগের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি ৭১ সালের কায়দায় নির্যাতন শুরু করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বারবার আওয়ামী লীগের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নানা প্রতিবদ্ধকতার পরও দল এখনো সুসংগঠিত রয়েছে।আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর বাঙালি হারানো মর্যাদা ফিরে পেয়েছে। এখন উন্নয়নশীল দেশ, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দুঃসময়ে দেশের মানুষের পাশে অন্য কেউ থাকতো না। পদে পদে বাধা আর মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা।

এছাড়া, করোনার কারণে কিছু সময়ের জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা গেলেও এ থেকে উত্তরণের আশা প্রকাশ করেন  প্রধানমন্ত্রী।

একুশে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। সভায় ২০০৪ সালের একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ভয়াবহতার স্মৃতিচারণ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা ও আহতরা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হলে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ