বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: তিন দেশ থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। দেশটির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ থমাস অ্যান্ড্রু।
তিনি বলেন, চীন, রাশিয়া ও সার্বিয়া মিয়ানমারের জান্তাকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। গেল বছর অভ্যুত্থানের সময় থেকে ওইসব অস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসতায় ব্যবহার করছে জান্তা সরকার।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার নিশানা হয়েছেন ৯ কর্মকর্তা এবং ৭ টি প্রতিষ্ঠানসহ জ্বালানি মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং সেনাবাহিনীকে জ্বালানি, অস্ত্র ও তহবিল সরবরাহকারী বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি। সব মিলিয়ে মিয়ানমারের ৯৩ জন ব্যক্তিবর্গ এবং ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এখন ইইউ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। নির্মমভাবে বিদ্রোহ দমন করছে সেনাবাহিনী। যার জেরে তাদের ওপর বার বার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার গতবছর মার্চে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীনভাবে প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৭০ হাজারের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গেছে।
প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ করা হয়। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান চালাচ্ছে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা তাদের দায়িত্ব।
বিএনএ/এমএফ