বিএনএ, চট্টগ্রাম : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করছে চট্টগ্রামবাসী। রোববার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুলিশের পক্ষ থেকে সশস্ত্র অভিবাদন জানানো হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, জহর লাল হাজারী, নিছার উদ্দিন মঞ্জু ও রুমকি সেন গুপ্তসহ আরও অনেকে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ।
শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম জেলা আনসার কমান্ডার, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম কারাগার, পরিবেশ অধিদফতর, পরিচালক স্বাস্থ্য, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ।
এরপর শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ সবাই ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ভাষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের।
এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এসেছে মহামারীর বাস্তবতায় ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের আয়োজনটি এবার হচ্ছে সীমিত পরিসরে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা অনেকে। বাঙালির নেই আত্মত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন। রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
সীতাকুণ্ড: করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। রোববার(২১ ফেব্রুয়ারী) রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলম,উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়,সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম,সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংসদ দিদারুল আলম বলেন,১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালিই বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম ভাষার জন্য রক্তদান করে। এর আগে ভাষার জন্য রক্তদানের কোনো ইতিহাস নেই। বাঙালির ভাষার জন্য এই রক্তদান ভাষাকে সর্বমানবের ভাষার অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনন বলেন, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে বিশ্বের প্রতিটি নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপর থেকে এইদিনে বাঙালির সঙ্গে সারা বিশ্বেই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির ইতিহাসে একটি অনন্য দিন হলেও এটি এখন বিশ্বের ইতিহাসেও অনন্য এবং অসাধারণ দিন।
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) :মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণ করে কক্সবাজার সদরে বৃহত্তম ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ।প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম ও সাধারন সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা শাহিদ এর নেতৃত্বে সকালে ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন প্রেসক্লাব সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর বাঙালি, অর্থ সম্পাদক এম আবু হেনা সাগর, দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া সম্পাদক আলা উদ্দীন প্রমূখ।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২১ উদযাপন উপলক্ষে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ আহসান হাবীব জিতু ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) নীলূফা ইয়াসমিন চৌধুরী, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু, প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মুুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুল আলম চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক দিদার, দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমশুল আলম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার এসকে সামশুল আলম। এছাড়াও উপজেলার জনপ্রতিনিধি,শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/সবুজ শর্মা শাকিল, রেজাউল করিম, রায়হান, আমিন, ওজি,মনির
