বিএনএ, বরিশাল: বরিশালের সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে চুরি করতে গিয়ে একটি দোকানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এক চোর। এ সময় নিজেকে উদ্ধার করতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তাকে চুরি মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে একই দিন ভোরে ওই ইউনিয়নের এ আর খান বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার ভোরে জরুরি সেবা থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার এলাকায় বিপদে পড়েছেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি জরুরি সেবার কনফারেন্সের মাধ্যমে থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শেষে মোবাইলে কল করে জানা যায় তিনি ঝন্টু মিয়ার দোকানের মধ্যে। দোকান থেকে বেরোতে তার অসুবিধা কোথায় জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যদের ইয়াছিন খাঁ বলেন, চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে গেছে। লোকজন দোকানের পাশে অবস্থান করছিল। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে মারধরের শিকার হতো। এজন্য বুদ্ধি করে ৯৯৯ নম্বরে কল করেছে।
এদিকে উদ্ধারের পর ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, চুরির উদ্দেশে বুধবার ভোররাতে ঝাপের তালা ভেঙে দোকানে ঢুকেছিলেন তিনি। তবে মালামাল চুরি ও তা নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগভর্তি করতে সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে যায়। একই সঙ্গে দোকানের সামনে লোকজনের আনাগোনা বেড়ে যায়। তখন আর দোকান থেকে মালামাল নিয়ে পালানোর সুযোগ ছিল না। আর ধরা পড়লে জনতার হাতে মারধরের শিকার হবেন, এমন আশঙ্কা থেকে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়েছেন।
দোকান মালিক ঝন্টু হাওলাদার বলেন, পুলিশ আমার দোকানের কাছে এলেও কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে তার মধ্য থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। পরে জানি ওই চোর ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চেয়েছে।
তিনি বলেন, দোকানের মালামাল যায়নি কিছুই। তবে সবকিছু এলোমেলো করে রেখেছে। ভালো ভালো জিনিস ব্যাগে ভরেছিল। কিন্তু নিতে পারেনি।
বিএনএ/এমএফ