30 C
আবহাওয়া
৩:০২ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা মামলা: তিন জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন

সিনহা হত্যা মামলা: তিন জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন

সিনহা হত্যা মামলা: তিন জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন

বিএনএ কক্সবাজার: মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্যের তৃতীয় দফার  ১ম দিনে তিনজনের  সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেন মো. আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ, শওকত আলী ।  সার্জেন্ট মো. আয়ুব আলী আদালতে উপস্থিত থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর)  সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবদুল হামিদের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যে দিয়ে সিনহার হত্যা মামলার তৃতীয় দফার বিচার কার্য শুরু হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি ফরিদুল আলম বলেন, তৃতীয় দফার সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রথমদিনে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। অন্য দিনের মতো মামলার আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১৫ আসামিকে কারাগার হতে আদালতে হাজির করানো হয়।

আদালতে উপস্থিত আসামিরা হলেন বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিন প্রথম দফায় ১ নম্বর সাক্ষী ও মামলার বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। একইভাবে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিন দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আদালত। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়। সোমবার মো. আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ, শওকত আলীর সাক্ষী নিয়ে তৃতীয় দফার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়, লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। এতে সাক্ষি করা হয় ৮৩ জনকে

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ