বিএনএ ডেস্ক : দ্রুততম সময়ে আফগান সরকারকে হটিয়ে কাবুল দখল করে তালেবানরা নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর । কাবুল বিজয়ের পর তালেবানরা শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করলেও অনেকের আতঙ্ক সরছেনা । তারা মনে করছে, যে কোন সময়ে তালেবানরা তাদের কট্টর রীতিনীতি চাপিয়ে দেবে আফগানদের ওপর । যদিও তালেবানরা বারাবার স্বদেশবাসী ও বর্হিবিশ্বকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তালেবোনদের এই বিজয়ের পেছনের নেপথ্য নায়ক কারা ? ৭ শীর্ষ নেতার পরিচয় এখানে তুলে ধরবো্।
হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা: আফগান তালিবানের প্রধান নেতা। ২০১৬-তে আমেরিকার ড্রোন হামলায় তাঁর পূর্বসূরির মৃত্যুর পর সংগঠনের তৃতীয় প্রধান হিসেবে উঠে আসেন। তিনি আড়াল থেকে সংগঠন সামলাতেন। তালিবানের শীর্ষস্তরে উঠে আসার পরই তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসে।
আব্দুল গনি বরাদর: তালিবানের প্রধান মুখপাত্র। ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১০-এ পাকিস্তানের করাচিতে আমেরিকার সৈন্যের হাতে ধরা পড়েছিলেন। ২০১৮-তে ছাড়া পান। বর্তমানে তালিবানের দোহার রাজনৈতিক কার্যালয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি।
মোল্লা ইয়াকুব: তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। তালিবানের উত্তরসূরির প্রধান দাবিদার ছিলেন। পাকিস্তানে পড়াশোনা তাঁর। এখন আফগানিস্তানেই থাকেন। হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ভাল যোগাযোগ তাঁর।
আব্দুল হাকিম ইশাকজাই: আখুন্দজাদার খুব ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তালিবানের মধ্যে। তালিবানের প্রধান সমঝোতাকারীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই: ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর ডেপুটি বিদেশমন্ত্রীর পদে ছিলেন।ইংরেজীতে খুব পারদর্শী। আফগান সরকারের সঙ্গে হক্কানি গোষ্ঠীর সমঝোতাকারী হিসেবে কাজ করতেন।
মোল্লা ইব্রাহিম সদর: ২০১৬-তে তালিবান বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তালিবান বাহিনীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
সিরাজউদ্দিন হক্কানি : ওয়াজিরিস্তানে হক্কানি নেট্ওর্য়াকের প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
বিএনএ/ ওজি