বিএনএ ডেস্ক: প্রবীণ সাংবাদিক, কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ বুধবার লন্ডন থেকে ঢাকায় পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২০ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ব্রিটিশরা সোমবারে অফিস খুলে হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট দিলে পরবর্তী ফ্লাইট হবে বুধবার। বুধবারে হয়ত মরদেহ পাঠাতে পারবে।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, গাফ্ফার চৌধুরী ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত প্রায় তিন মাস তিনি বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) আশিকুন্নবী চৌধুরী জানান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশেই তাকে দাফন করা হবে।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া তার গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। ১৯৪৯ সালে তার প্রথম গল্প ছাপা হয় সওগাত পত্রিকায়। পরে দৈনিক ইনসাফ, দৈনিক সংবাদ, মাসিক সওগাত, মাসিক নকীব পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জয় বাংলা, যুগান্তর ও আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেন।
সাহিত্যে অবদানে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মানিক মিয়া পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন গাফ্ফার চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
বিএনএ/ এ আর