বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: আসন্ন রমজান মাসে অধিকৃত জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করবে ইসরায়েল। নিরাপত্তার জন্যই এমনটি করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। খবর আল-জাজিরার।
পবিত্র আল-আকসা মসজিদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। এলাকাটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্রতম স্থান। সেখানে টেম্পল মাউন্ট রয়েছে বলে মনে করে ইহুদিরা।
রমজান মাসে আল-আকসায় প্রবেশে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ দেওয়া নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এমনটি করে আসছে। আর চলতি বছরের ১০ মার্চ রমজান মাস শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পবিত্র আল-আকসায় রমজান মাসে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, নিরাপত্তার প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, কি কি বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ে কোনো কিছু জানায়নি তারা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিধিনিষেধে বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ করা সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনিদের এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। বিধিনিষেধকে ইহুদিবাদী অপরাধ এবং ধর্মীয় যুদ্ধের ধারাবাহিকতা হিসেবে বর্ণনা করেছে সংগঠনটি।
ইসরায়েল প্রায়শ নিরাপত্তার অজুহাতে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশকারীদের সংখ্যা সীমিত করে। এর আগে রমজান মাসে পবিত্রতম স্থানটিতে আগ্রাসী অভিযান চালিয়েছে তারা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকাসহ অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি হামলা চলমান। রমজান মাসেও এই হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে তারা।
গত রোববার ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেন, ‘বিশ্ববাসীর সঙ্গে সঙ্গে হামাস নেতাদেরও জানা দরকার, যদি রমজানের মধ্যে বন্দিরা বাড়ি না ফেরে তাহলে রাফাহসহ সবখানে হামলা অব্যাহত থাকবে। বেসামরিকদের হত্যা কমিয়ে আনতে আমরা প্রচেষ্টা চালাবো।’ ওই সময় তিনি আরও বলেন, ‘হামাসের কাছে পথ খোলা আছে। তারা আত্মসমর্পণ করুক ও বন্দিদের মুক্তি দিক। তাহলে গাজাবাসী রমজানের উৎসব করতে পারবে।’
বিএনএ/এমএফ