বিএনএ ডেস্ক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাখিশিকারিদের দেওয়া বিষ খেয়ে এক খামারির ২৫০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের পোয়ালা বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় খামারের মালিক আলী হোসেন শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গগড়া গ্রামের আলী হোসেন ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে একটি হাঁসের খামার তৈরি করেন। তার খামারে ৪৫০টি হাঁস আছে। হাওরে তিনি ঘর তৈরি করে হাঁসগুলো পালন করেন। প্রায়ই বিবাদীরা হাকালুকি হাওরে আসা অতিথি পাখি শিকার করে থাকে। হাঁসের খামারের মালিক আলী হোসেন বিভিন্ন সময় বিবাদীদের পাখি শিকার করতে নিষেধ করেছেন।
বিবাদীরা তার নিষেধ না মানায় তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও জানান। এতে বিবাদীদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিবাদীরা শুক্রবার সকালে হাকালুকি হাওরের পোয়ালা বিলে আলী হোসেনের খামারের সামনে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখে। সকালে হাঁসগুলো খাবারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে। এ সময় বিষ মেশানো ধান খেয়ে ঘটনাস্থলেই ২৫০টি হাঁস মারা যায়।
খামারের মালিক আলী হোসেন বিকেলে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে হাঁসের খামার তৈরি করেছিলাম। কিন্তু পাখি শিকারিরা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। ধানের সঙ্গে শিকারিদের দেওয়া বিষ খেয়ে আমার অন্তত ২৫০টি হাঁস মারা গেছে। বাকি হাঁসগুলোর অবস্থাও খারাপ। যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। আমি তাদের প্রায়ই পাখি শিকার করতে নিষেধ করতাম। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার এতোগুলো হাঁস বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘বিষটোপ খেয়ে এক খামার মালিকের ২৫০টি হাঁস মারা গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’