21 C
আবহাওয়া
১০:৫৭ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘কাউকে জানালে তোর লাশও পরিবার খুঁজে পাবে না’

‘কাউকে জানালে তোর লাশও পরিবার খুঁজে পাবে না’


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাহ মাখদুম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে শারীরিক নির্যাতন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয় সেই শিক্ষার্থীকে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সামিউল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে অভিযুক্ত হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১১ টায় হলটির ২১৪ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে মো. সামিউল ইসলাম জানান, শাহ মাখদুম হলের ২১৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও রাত ১১টার দিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাজবিউল হাসান অপূর্ব ও তার অনুসারীরা কক্ষে প্রবেশ করে আসনটির জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে ম্যানিব্যাগ থেকে জোরপূর্বক ৩ হাজার ৭৭২ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় এবং বাসা থেকে বাকি টাকা দ্রুত থেকে আনতে বলা হয়।

অভিযুক্ত হল সভাপতি অপূর্ব এসময় বলেন, “এই সিটে থাকতে হলে বাকি টাকা আজকেই দিতে হবে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার বাবা মায়ের নাম তুলে গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে অপূর্ব আমার গায়ে হাত তুলে এবং তার অনুসারীরা আমাকে মেঝেতে ফেলে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আগামীকালের মধ্যে বাকি টাকা দিতে না পারলে হল থেকে চলে যেতে হবে বলে জানান তারা। এসব বিষয় কাউকে জানালে  ‘তোর লাশও তোর পরিবার খুঁজে পাবে না বলে হুমকি দেয়া হয়’।”

ইতোপূর্বেও হল সভাপতি অপূর্ব ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রুমে থাকার জন্য ৩ হাজার টাকা চাপ প্রয়োগ করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সামিউল।

এদিকে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, “গতকাল রাতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই শিক্ষার্থীর রুম একচেঞ্জ করার কথা ছিলো কিন্তু করেনি। এ বিষয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও হুমকির বিষয়টি ভিত্তিহীন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, “বিষয়টি শুনে আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। আমার মনে হয়েছে তাকে জোর করে কেউ লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবুও যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আমরা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, “লিখিত অভিযোগ আমি হাতে পাইনি তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। তাকে বিকেল ৪টায় লিখিত অভিযোগ হাতে নিয়ে দেখা করতে বলেছি। যদি মারধর ও প্রাণনাশের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন বলেন, “আমরা বিষয়টা জেনে দুজনকেই ডেকেছি৷ তাদের কথা শুনে আমরা তদন্ত করার জন্য সময় নিয়েছি।”

সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, “এটা হলের বিষয় হল প্রশাসন দেখবে। আমি সকাল হল প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং দুজন সহকারী  প্রক্টরকে হল প্রাধ্যক্ষকের কাছে পাঠিয়েছি। এখনো হয়তো সিদ্ধান্ত আসেনি।”

বিএনএ/সাকিব/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ