বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর আইসোলেশনে থাকার সময় আগের তুলনায় চারদিন কমিয়ে দশ দিন করার সুপারিশ করেছে সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বুধবার রাতে ঢাকায় এক বৈঠকের পর কোভিড-১৯ সর্ম্পকিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি মোট পাঁচটি সুপারিশ করেছে। কমিটির এক নম্বর সুপারিশেই আইসোলেশনের মেয়াদ চার দিন কমানোর কথা বলা হয়।
দেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর লক্ষণ প্রকাশের পর ১৪ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনের নিয়ম রয়েছে।
এখন কারিগরি পরামর্শক কমিটি এই আইসোলেশনের সময় দশ দিন করার সুপারিশ করলো।
উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টিন করতে হবে না
কমিটির সুপারিশে বলা হয়, কোভিড-১৯ নিশ্চিত হয়েছে এমন রোগীর সংস্পর্শে যারা গেছেন, তাদের কোন উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই।
তবে রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির টাইট মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে সাধারণ জনগণের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করেছে জাতীয় কারিগরি কমিটি।
বিমান বন্দরে নজরদারি বাড়াতে হবে
অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের বন্দরগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে এই কমিটি ।
সুপারিশে বলা হয়, বিমানবন্দরসহ সকল বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে যেন পালন করা হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।
সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কোভিড-১৯ এবং নন-কোভিড সব ধরণের রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
এছাড়া মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিসহ সব পক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
কেস শনাক্তের হার দ্রুত বাড়ছে
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার এখন ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত এই হার বেশ দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে বুধবার শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ১১ শতাংশে।
গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৯ হাজার ৫০০ জনের। আর মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।