ইসরায়েলি ওয়েবসাইটগুলির মত পশ্চিমা মিডিয়াতেগুলোতে এখন “ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ” শিরোনামে বিভাগ রয়েছে। আসলে কী এটি “ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ” নাকি ইউএস-হামাস যুদ্ধ”?
আর যদি তা না হয়, তাহলে এটিকে বলতে হবে স্রেফ গণহত্যা। যার জন্য একদিন কসাই বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কারাগারে যেতে হবে।
সশস্ত্র শত্রুদের পরিবর্তে বেসামরিক সামাজিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে বেশ কিছু সার্বিয়ান এবং রুয়ান্ডার কর্মকর্তাদের কারাগারে এখন পচন ধরেছে।
বিশ্বের শান্তিকামী জনগণ বিরাজমান সমস্যা কাটিয়ে উঠলে নেতানিয়াহুও তাদের একজন হবেন।
কারণ যুদ্ধ হয় সশস্ত্র বাহিনী বনাম সশস্ত্র বাহিনী বা সশস্ত্র গোষ্টির মধ্যে। সাধারণ জনগণের সাথে সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ হয় না। হয় গণ হত্যা।
হামাস নিন্দনীয় কাজ করেছে সেটা ঠিক আছে, হামাসের ওপর টানা ৪৮ ঘণ্টা হামলা চালিয়ে ইসরাইল প্রতিশোধও নিয়েছে, কিন্ত ৪৮ দিন কেন হামলা করবে, ঘরে, হাসপাতালে, মসজিদে,শরণার্থী শিবিরে এবং স্কুলের মত আশ্রয় শিবিরে।
মূলত উত্তর গাজাকে খালি করার ইসরাইল ও মার্কিন পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে এ সুযোগকে কাজে লাগালো ইসরাইলি সেনাবাহিনী। যাতে সংলগ্ন অধিকৃত অঞ্চলে আরো বেশি বেশি বসতি স্থাপন করা যায়।
হাসপাতাল ও আশ্রয় শিবিরে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে যা করেছে তা স্পষ্ট গণহত্যা।
আল্লাহ সহায়। একদিন ফিলিস্তিনিরা ঘুরে দাঁড়াবে ।
মূল: লেখক হাক্কি ওকাল, একজন পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক। তিনি বর্তমানে ইবনে হালদুন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক হিসেবে কাজ করছেন। সূত্র ডেইলি সাবাহ্ ।
অনুবাদ, এসজিএন/বিএনএ
মতামতের জন্য সম্পাদক/ প্রকাশক দায়ি নন। এটির সম্পূর্ণ দায়ভার লেখকের।