24 C
আবহাওয়া
২:১৫ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » খুলেছে দেশের সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র 

খুলেছে দেশের সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র 

খুলেছে দেশের সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র

বিএনএ ডেস্ক: করোনার বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার(১৯ আগস্ট) থেকে  দেশের সব পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলেছে।হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্টরাও।

তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে অর্ধেক পর্যটক যেতে পারবেন। মাস্ক পরিধান ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। শর্ত অনুযায়ি ৫০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া দিতে পারবে হোটেল-মোটেল মালিকরা।

দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের অফার দিচ্ছেন কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

দেশের অন্যতমে এই পর্যটন কেন্দ্রে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। মহামারি করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে অন্যান্য পর্যটনস্থানের মতো কক্সবাজারেও ব্যবসায় মন্দাভাব শুরু হয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশে গত পহেলা এপ্রিল বন্ধ হয় জেলার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। সেইসঙ্গে সমুদ্র সৈকতসহ সব পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এরপর থেকেই দীর্ঘদিন বন্ধ পড়ে থাকা হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধোয়া-মোছা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, পর্যটন খাতকে ঝুঁকিমুক্ত করতে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে সরকারের দেয়া শর্ত মানতে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান।

এদিকে, নির্ধারিত সময়ের আগেই কক্সবাজারে ভিড় করেছে হাজারো পর্যটক। অনেকে আগেই হোটেল-মোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছেন।

যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দূর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে যান পাহাড় ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভূমি বান্দরবানে। কিন্তু  দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় পর্যটন ব্যবসায়। এখন পর্যটকদের বরণ করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণায় আবারও মুখর হয়ে উঠবে রূপের রাণী বান্দরবান।

আর রাঙ্গামাটি শহরের ঝুলন্ত ব্রিজ, পলওয়েল পার্ক, শিশু পার্ক, হ্যাপি আইল্যান্ড, সুবলং ঝর্ণা, ইকো ভিলেজ, বনবিহার, রাজবাড়ী, আরণ্যক, পেদা টিং টিং, বড়গাঙসহ নানা বিনোদন কেন্দ্রে সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার আকর্ষণীয় ‘সাজেক ভ্যালি’তে পর্যটকদের বেশি সমাগম হয়।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, সরকারি-বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে জড়িত মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্য ফিরেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জেলার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে আসবেন। এটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পর্যটনকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। পর্যটকদের নির্বিঘ্নে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

করোনার কারণে দীর্ঘদিন মানুষের পদচারণা না থাকায় আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির প্রকৃতি তার আপন রূপে সেজেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ফুটেছে বাহারি রঙের ফুল। প্রকৃতির সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে ভ্রমণের জন্য উৎসাহিত হচ্ছে পর্যটকরা। তাদের বরণ করে নিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পরিস্কার-পরিছন্নতার কাজ শেষ করেছে সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছর করোনায় সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানাসহ সারাদেশের হোটেল মোটেল, পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে চার মাস পর খুলে দেয়া  হল দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো। পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব হারিয়েছে। তবে, ব্যবসায়ীদের ধারণা, দেশের পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ায় দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা। এজন্য লোকসান কাটাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের ভ্রমণের আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ