বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ শনিবার থেকে সিনোফার্মের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ব্যবধান নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টর (এমএসসিএন্ডএএইচ) ও কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সারাদেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে ১৪ জুন সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীনের উপহার হিসেবে দেয়া সিনোফার্ম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাইজার টিকা দিয়েই আবারো প্রথম ডোজ শুরু হচ্ছে। হাতে যতটুকু টিকা পাওয়া গেছে তা দিয়ে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম আবার চালু হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা আবার বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, এখন থেকেই সবাইকে আবার সচেতন হতে হবে। হাসপাতালে শয্যা কম। করোনা বাড়লে সেবাও ব্যাহত হবে। তাই প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধ রাখায় টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও সরকারের হাতে নেই। এ অবস্থায় সরকারকে অন্য উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করতে হচ্ছে।
চীন থেকে দুই দফায় উপহার হিসেবে দেশে ১১ লাখ ডোজ ও ফাইজার থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে। সরকারের হাতে সব মিলিয়ে প্রথম ডোজ শুরু করতে টিকা রয়েছে ১২ লাখ ৬২০ ডোজ।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ