দেশে শুরু হয়ে গেছে প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ। আবহাওয়াবিদদের মতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গিয়ে ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়। আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন
১. যতটা সম্ভব এই গরমে রোদে কম বের হবেন।
২. প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন।
৩. অন্যান্য তরলের মধ্যে ওরস্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত, মাঠা বা ডাবের পানি খুবই উপকারী।
৪. গরমের দিনে চা ও কফি যতটা সম্ভব কম পান করুন।
৫. ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন।
৬. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার, তরল খাবার, ফলের রস রাখবেন।
৭. হালকা রঙের ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন।
৮. বাইরে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস ও টুপি ব্যবহার করুন।
৯. রোদের মধ্যে কায়িক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
১০. কাজের মাঝখানে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
১১. শিশু ও বয়স্ক মানুষদের বাসা থেকে কম বের হওয়া ভালো।
১২. ভ্যাপসা গরম এড়াতে বাসায় বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ার কুলার, এসি এসবের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়।
১৩. প্রতিদিন গোসল নিশ্চিত করা দরকার।
১৪. গরমের কারণে অবসন্ন বোধ করলে ছায়াযুক্ত বা শীতল কোনো স্থানে বিশ্রাম করুন।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে করণীয়
১. হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে।
২. শরীর থেকে অতিরিক্ত কাপড় সরিয়ে পোশাক ঢিলেঢালা করে দিতে হবে।
৩. ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।
৪. বরফ বা ঠাণ্ডা পানি শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে, গলার নিচে লাগাতে হবে।
৫. চোখে-মুখে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
৬. পানিশূন্যতা রোধে দ্রুত বিশুদ্ধ পানি এবং ফলের রস, ওরস্যালাইন পান করতে হবে।
৭. অজ্ঞান হয়ে গেলে বা মাথা ঘোরালে মাথায় পানি ঢালতে হবে।
৮. অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা